ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুরিকাঘাতে সাংবাদিক হত্যা, ঘাতক রায়হান আটক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 9 January 2023, 209 বার পড়া হয়েছে,

আদিত্ব্য কামাল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইজিবাইকের গতিরোধ করে আশিক নামের এক সাংবাদিককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে শহরের ফারুকী পার্ক সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং এর সক্রিয় সদস্য ঘাতক রায়হান আহমেদ সোহানকে জেলা শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত আশিকুর রহমান আশিক ‘দৈনিক পর্যবেক্ষণ’ পত্রিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। আশিক জেলা শহরের মেড্ডা এলাকার বাসিন্দা কুয়েত প্রবাসী আশরাফ উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় বাতিঘর নামের একটি মানবসেবামূলক সামাজিক সংগঠনের কর্মী ও ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদক বিরোধী আন্দোলন’ এর সভাপতি ছিলেন। এবং জেলা শহরে বিভিন্ন এলাকায় সিফাত, সৌরভ, তৈয়ব, সাঈফ, রিজু’সহ মাদক বিরোধী প্রচার প্রচারণা চালাতেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম জানান, ‘বেওয়ারিশ লাশ স্বেচ্ছায় দাফন কাজের সঙ্গে জড়িত বাতিঘর নামক সংগঠনের মাসিক সভা ছিল শহরের ফারুকী পার্কে। সেখান থেকে সভা শেষ করে শহরে ফেরার পথে মাদকাসক্ত রায়হান’সহ আরও ৪-৫ জন আশিককে বহনকারী ইজিবাইকের গতিরোধ করে বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এসময় আশিকসহ ইজিবাইকে থাকা আরও ২-৩ জন আক্রমণকারীদের পেছনে দৌড়াতে থাকেন। একপর্যায়ে আশিক রাস্তায় ঢলে পড়েন। পরে সংগঠনের অন্য সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি আরও জানান, ‘বাতিঘর সংগঠনের সদস্য স্বেচ্ছায় রক্তদাতা এক যুবককে “রক্ত বিক্রেতা” বলা নিয়ে রায়হানের সঙ্গে আশিকের ২ দিন আগে বাদানুবাদ হয়েছিল। এর জেরে রায়হান পরিকল্পিতভাবে আশিকের ওপর হামলা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আশিকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাতিঘরের আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিন বলেন, ‘বিকালে বাতিঘর সংগঠনের মাসিক সভা ছিল অবকাশ পার্কে। সেখান থেকে সভা শেষে ফেরার পথে মাদকাসক্ত রায়হান নামের একটি ছেলেসহ আরও ৪-৫ জন আশিকের অটোরিকশা ঘেরাও করে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

এদিকে, ঘাতক রায়হান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেলের সমর্থক বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, ছাত্রলীগের মিটিং-মিছিলে সে ভাদুঘর থেকে অংশ নিতো।