ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর শালিসি সভায় বাকবিতণ্ডার জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় আরাফাত (২০) নামে আরও একজন মারা গেছেন। সোমবার (১৮ জুলাই) ভোরে ঢাকায় একটি হাসপাতালে অপারেশন করাকালীন সে মারা যায়। নিহত আরাফাত উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের সফর আলীর ছেলে। এনিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুজনে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে রোববার (১৭ জুলাই) ভোরে একই সংঘর্ষের ঘটনায় বল্লমের আঘাতে শাহ আলম (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত শাহ আলম উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের মৃত মালেক সরদারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার স্থানীয় জাহের মিয়ার ছেলে বাহার মিয়া ও সফর মিয়ার ছেলে আরাফাতের মধ্যে ঝগড়া হয়। বিষয়টি মিমাংসা করতে শনিবার রাতে এলাকার জাহের মিয়ার উঠানে শালিসি সভা আহবান করা হয়। শালিসে জিয়া নামে একজন না আসায়, সভায় উপস্থিত শাহ আলম এর কারণ জিজ্ঞাস করেন। এনিয়ে সফর মিয়া, সাঈদুল, ছুট্রু ও আরাফাতের সাথে শাহ আলমের বাকবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে দুইপক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় শাহ আলম ও আরাফাতকে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মধ্যরাতে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে পথিমধ্যে মারা যায় শাহ আলম৷ আরাফাতকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। আজ ভোরে অপারেশন করাকালীন সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা আছে। গতকাল রাতে শাহ আলমকে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে৷ অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।