ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে দেশে অনেক গুজব রয়েছে। এই পিলারে প্লাটিনাম ও ইউরোনিয়াম রয়েছে বলেও গল্প সাজান অনেকে। কোটি কোটি টাকা এসব পিলারের মূল্য। তাই চোরাকারবারিরা এই পিলার ক্রয় করতে মরিয়া হয়ে উঠেন। তবে সত্যিই কি এই ম্যাগনেটিক পিলারের মূল্য কোটি কোটি টাকা? না বাহাস কথা?
তবে কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার বলে আখ্যায়িত করছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন এর মাধ্যমে বৃটিশরা আসলে এদেশের সব গোপন তথ্য চুরি করে নিয়ে যায়। গল্পের ডাল-পালায় রয়েছে আরও বহু কিছু! তবে এসব প্রচলিত গল্পকে কতটুকু সত্য আর মিথ্যা দিয়ে মিশ্রিত তা পরিস্কার করা দরকার বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
তাদের মতে, পিলার নিয়ে মানুষের এমন ভ্রান্ত ধারণা প্রথমেই দূর করা উচিত। পিলার টাকার খনি নয়, জীবন বাঁচানো সহায়ক, বিশেষ করে বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষার হাতিয়ার। সীমানা নির্ধারণের জন্য একটি থেকে আরেকটির দূরত্ব মেপে মাটির নীচে পুঁতে রাখা হয়েছিল। যেগুলোর মধ্যে পিতল, তামা, লোহা, টাইটেনিয়ামসহ ধাতব চুম্বক সমন্বয়ে গঠিত হওয়ার কারণে বজ্রপাত হবার সময়ে ইলেকট্রিক চার্জ তৈরী হয় সেটি সরাসরি এই পিলারগুলো শোষণ করে আর্থিং এর কাজ করতো। এতে করে বজ্রপাত হতো কিন্তু মানুষ মারা যেত না।
তবে কিছু অসাধু লোক এই পিলারগুলো অনেক দামে বিক্রি করা যায় এরকম গুজব ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। এ কারণেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পিলারগুলো নিচিহ্ন হয়ে গেছে। কিছু লোক এগুলোকে মহামূল্যবান বলে অপপ্রচার করে খুঁজে বের করে চুরি করে নিয়ে গেছে।
সীমানা পিলারগুলোর মধ্যে থাকা তামা পিতল, টাইটেনিয়াম জাতীয় ধাতবের সমন্বয়ে তৈরী বলে এগুলো বিদ্যুৎ সুপরিবাহী হওয়াতে একে মহামূল্যবান বলে অপপ্রচারের ফলে এসব পিলার চুরি হতে থাকে।
বৃটিশ শাসনামলে বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য এই প্রযুক্তির পিলারগুলো সারা দেশ জুড়ে মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়েছিল।
দেখা যায়, আগেকার আমলে বজ্রপাতে নিহত হবার সংখ্যা ছিল অনেক কম যেটি এখন এতটা বেড়ে গেছে যে, মানুষ রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গেছে। এখন সবাই বুঝতে পারছে কেন বৃটিশ আমলে এগুলো মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়েছিল।
এরই মধ্যে বিশেষজ্ঞরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে, দেশ জুড়ে ম্যাগনেটিক পিলার বসানোর জন্য। এতে করে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মত দেন তারা।