বৈরী আবহাওয়ার কারণে কাজে কিছুটা ব্যঘাত ঘটলেও কারিগরদের আত্মবিশ্বাস নির্দিষ্ট সময়ে আগেই তারা প্রতিমা হস্তান্তর করতে পারবেন। এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলায় প্রায় ৬শ’ পূজামণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে নাসিরনগর উপজেলায় মণ্ডপের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
কারিগর রবীন্দ্র পাল বলেন, “কোভিডের কারণে গত দু’বছর তেমন অর্ডার মিলেনি। তবে এবার প্রতিমা তৈরির কাজ বাড়লেও উপকরণের দাম বেড়ে গেছে। শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় কাঙ্খিত লাভ হবে কিনা তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।”
একই বিষয়ে প্রতিমা কারিগর দিজেন্দ্র পাল জানান, খর-বাঁশসহ সবকিছুর দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। যে বাঁশ আগে ২ থেকে আড়াইশ’ টাকায় বিক্রি হতো তা সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা এবং প্রতিমণ খর ৩শ’ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৮শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে প্রতিমা তৈরিতে খরচ অনেকটাই বেড়ে গেছে।
অন্যদিকে প্রবীণ কারিগর সুরঙ্গ পাল বলেন, ৫০ বছর ধরে প্রতিমা তৈরি করছি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রতিমা তৈরির কাজ কিছুটা ব্যাহত হলেও ষষ্ঠী পূজার আগেই প্রতিমা হস্তান্তর করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতির প্রনব কুমার দাস জানান, সারাবিশ্বের অর্থনৈতিক সংকটের বিষযটি মাথায় রেখেই সরকারি নির্দেশনা মেনে মণ্ডপগুলোতে এবার পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, “মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তায় স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর থাকবেন।