মো. আজহার উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ। এর জের ধরে দুইপক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা-মোকদ্দমা ঘটনা ঘটেছে। থানায় অভিযোগ দেওয়া হয় দু’জনকে হত্যার। পুলিশ মামলা নেয়নি বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ আলাদতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়। প্রতিপক্ষের অভিযোগ, তাদের নামে ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পূর্ব বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজ্ঞ আইন বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আদালতে মো. মারফত আলী নামের এক ব্যক্তি ১৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে এই মিথ্যা মামলাটি করেন।
এর-আগে বুধবারে সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামের ইমামবাড়ি এলাকায় মারফত আলীর লোকদের সাথে পূর্ব বিরোধের জেরে খুরশিদ মিয়ার লোকদের সংঘর্ষ হয়। এতে আংগুর মিয়া (৪২), কাপ্তান মিয়া (২৫) পারুল আক্তার (৩০), জুলহাস ২৫), জাহাঙ্গীর মিয়া (২৫), দুলাল মিয়া (২৫) ও সজিব মিয়া (১৮)। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
মামলার আসামী মিজানুর রহমান হিরা জানান, ধামাউড়া গ্রামের ইমামবাড়ি এলাকায় খুরশীদ মিয়ার ছেলে শরীফের বিটেবাড়ির ৮ শতাংশ জায়গা নিয়ে একই এলাকার মৃত মতর মিয়ার ছেলে হোসেন মিয়ার সাথে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। আজকে বুধবার একই ঘটনার জেরে শরীফের বড়ভাই আংগুর মিয়া ও হোসেন মিয়ার চাচাতো ভাই নওয়াব মিয়া, মারফত আলী ও আম্বর আলীসহ দু’পক্ষের ৪০-৫০ জন দা-লাঠিসোঁটা ও ফলা-বল্লম নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে যায়৷ এমন সময় সংঘর্ষে ১০-১২ জন আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা আমাদের মারধোর করেছে। তারা তাদের দুজন লোকের নরমাল মৃত্যুকে হত্যা সাজিয়ে সরাইল থানায় মামলা করতে ব্যর্থ হয়েও থামেনি। তারা বিজ্ঞ আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে৷
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলার কপি হাতে পেয়েছি। তদন্তের জন্য অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছি। গত দুদিন আগেও দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার একজন আসামী গ্রেপ্তার করেছি।