মোঃ নিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পত্তি দখলের জন্য মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা হুসেন আলীর ছেলে বাদী জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান বলেন, আমি ২০১৯ সালে আমার চাচাতো ভাই জজ মিয়া ও ছোটন মিয়া থেকে ডোবার জায়গা ৩ শতক ও বাড়ির জায়গা ৩ শতক মোট ৬ শতক জায়গা ক্রয় করি। ডোবার ৩ শতক জায়গা দখল বুঝিয়ে দিলেও বাড়তি ৩ শতক জায়গা তারা এখনো দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার তারা আমাকে মারধোর করে এবং হাতের আঙ্গুল কামড়ে জখম করে। উল্লেখ্য ,তারা বিগত প্রায় ২০ বছর ধরে আমাদেরকে জায়গায় জন্য বিভিন্ন সময় অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। ২০০৫ সালে আমার বাবা মৃত্যুবরণ করলে তারা আমাদের জাল পরিচয়পত্র তৈরি করার মাধ্যমে এবং আমার মা ও ছোটভাই সহ আমাকে মারধোর করে ভয়ভীতি দেখিয়ে জাল দলিল তৈরি করে সাড়ে চার শতক জায়গা জোরপূর্বক দখল করে নেয়। এছাড়াও আমার এই অসহায়ত্ব দেখে সুযোগ পেয়ে কিছু দুষ্কৃতিকারী লোক আমার আরো কিছু জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছে যে ব্যাপারে আমি ২০১৯ সালে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ এবং এবছর এপ্রিল মাসে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। হামলার মামলায় আসামি জজ মিয়া বলেন বাদী জিয়াউর রহমানের সাথে আমার কোন প্রকার লেনদেন নাই। কথাকাকাটির এক পর্যায়ে আমাকে আক্রমণ করলে আমার হাত থেকে বাঁচতে আঙুল কামড়ে ধরি। বাদী জিয়াউর জানান, বিবাদমান ৩ শতক জায়গা আমি জজ মিয়া ও তার ভাই করিম মিয়ার কাছ থেকেই কিনেছি। ফলে তার সাথে লেনদেন না থাকার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এবিষষয়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার স্বাক্ষী নিলুফা আক্তার বলেন, জিয়াউর রহমান শহর থেকে আসার পর আমার থেকে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে আমির মিয়ার বাড়িতে যাওয়ার পথে ছোটন মিয়া দৌঁড় দিয়ে এসে জিয়াউর রহমানকে ধরলে তখন জজমিয়া সহ তাদের ভাতিজা আরমান আকরাম লাঠি নিয়ে জিয়াউর রহমানের উপর আক্রমণ করে। তখন জিয়াউর রহমান কোনভাবে জীবন নিয়ে পালিয়ে গেলেও তার আঙ্গুল ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় এবং ধস্তাধস্তির সময় তার থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
মামলার নিয়োজিত কৌশলী এডভোকেট সুমন ভুঁইয়া বলেন ,বাদী জিয়াউর রহমানের উপর হামলার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নবীনগর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি এখন তদন্তাধীন আছে। আদালত শুনানি শেষে সন্তুষ্ট হয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন এবং হাসপতালের রিপোর্ট সহ সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।