এহসানুল হক রিপন : দেশের অর্থনীতির চাকা সচল করতে সাত সাগর তের নদী পেরিয়ে পরিবারের হাল ধরতে প্রিয়জন ছেড়ে ভিনদেশে পাড়ি জমায় বাংলাদেশিরা।
তাদের মতই ২০১৮ সালে জীবিকার সন্ধানে ইরাকে পাড়ি জমায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার চানপুর গ্রামের জানু মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া। সব ঠিকঠাক মত চলতে থাকলে হঠাত মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে শাহিন। তাকে দেশে ফেরত আনতে পরিবার থেকে বিমান ভাড়ার জন্য টাকা পাঠানো হলে গত ২রা অগাস্ট এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে হরযত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আসেন শাহিন।
দেশে ফিরেছে বিমান ‘ফিরেছেন শাহিনও’ তবে ফেরেনি মায়ের কোলে। দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও ছেলের কোন খোঁজ না পেয়ে যোগাযোগ করেন বিমানবন্দর থানায়। তারা বিষয়টি অবগত হলেও তেমন আমলে নেইনি। টানা ২দিন বিমানবন্দরে খোঁজ করার পরও শাহিনের সন্ধান পাইনি তার পরিবার।
নিখোঁজ শাহিনকে ফিরে পেতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতি জোর দাবি জানান স্বজনরা।
যে প্রবাসীরা প্রিয়জন ছেড়ে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করে তারাই আজ সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। তাদের প্রতি বিশেষ যত্ন না নিলে একসময় প্রভাব পরতে পারে দেশের অর্থনীতির নিজার্ভে।