স্থানীয়রা জানান, জেলা সদরে যাতায়াতের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মনতলা-সিতারামপুর ফেরি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু বাঁশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণের ফলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ফেরি চলাচলের সড়কটি ভেঙে যাবেে বলে আশঙ্কা তাদের।রফিক মিয়া নামে এক পথচারী বলেন, এভাবে রাস্তা নির্মাণ করলে মাস দুয়েকের মধ্যেই ভেঙে যাবে। আমরা চাই কাজগুলো যেন আরও ভালোভাবে হয়। তবে বাঁশের ব্যবহার এভাবে আর আগে দেখিনি।
শামিম আহমেদ নামে এক ব্যক্তি জানান, দু’পাড়ের রাস্তা আরও উঁচু করতে হবে। অন্যথায় রাস্তা টেকসই হবে না। ঢালাইয়ের মাধ্যমে রাস্তাটি করলে এলাকাবাসী উপকৃত হতো। আল্লাহই জানেন তারা কেমনে কি করছে।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী প্রকৌশলী মো. মহসিন জানান, নদীপাড়ে আরসিসি ঢালাই করা যায় না, অথবা করাও সম্ভব না।
তিনি বলেন, সারা দেশের মাওয়া, চাঁদপুরসহ বিআইডব্লিটিএ’র যত ফেরিঘাট নির্মাণ করে নদীর পাড়ে তা বালি দিয়ে ঠেস দিয়ে এভাবে কাজ করা হয়।
প্রকৌশলী মো. মহসিন জানান, মূলত নরম মাটিতে বাঁশ ব্যবহার করলে অতিরিক্ত লোড নিতে পারে। অর্থাৎ রডের মতো কাজ করে। নরম মাটিতে রড ও বালি ব্যবহার করা যায় না। এভাবেই সারা দেশে নদীর পাড়ের ফেরিঘাটের কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।