আজ শুভ বড়দিন

জাতীয়, 25 December 2021, 337 বার পড়া হয়েছে,

আজ শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন। এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের গির্জাগুলো সাজানো হয়েছে। রাজধানীর কাকরাইলের রমনা সেন্ট ম্যারিস ক্যাথিড্রাল চার্চ, তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রানীর গির্জা ও মোহাম্মদপুরের সেন্ট ক্রিস্টিনা চার্চে বিশেষ প্রার্থনাসভার আয়োজন করা হয়েছে। কৃত্রিম ‘ক্রিসমাস ট্রি’ দিয়ে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। গির্জা প্রাঙ্গণে রংবেরঙের বাতি দিয়ে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে এবং ঈশ্বরের মহিমা প্রচারে যিশু খ্রিষ্ট এইদিনে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরাও ধর্মীয় আচার, প্রার্থনা ও আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবেন।

খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতারা জানান, গত বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে উৎসব উদ্যাপন অনেকটা অনাড়ম্বরভাবে হয়েছিল। তবে এবার বড়দিনের আয়োজনে চাকচিক্য কিছুটা বেড়েছে। যদিও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বড়দিন উপলক্ষে গির্জার বাইরে কোনো আনুষ্ঠানিকতা রাখা হচ্ছে না।

তেজগাঁও জপমালা রানীর গির্জার পালক পুরোহিত ফাদার সুব্রত গোমেজ বলেন- ‘পাপ স্বীকার সংস্কারের মাধ্যমে খ্রিষ্টানরা বড়দিনের আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি নেয়। আমরা যেসব অন্যায়-অপরাধ করি, সেগুলো যাজকের কাছে গিয়ে স্বীকার করি এবং ঈশ্বরের ক্ষমা লাভ করি।’

অন্যদিকে বড়দিনকে ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেলগুলোও সাজানো হয়েছে। রঙিন আলোকসজ্জায় ‘ক্রিসমাস ট্রি’সাজানোর পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে রংবেরঙের আলোকসজ্জা।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

বড়দিন উপলক্ষে দেশের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল বলেন, যিশু খ্রিষ্ট মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, মমত্ববোধ, সহানুভূতি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ অবস্থানের শিক্ষা দেন। জাগতিক সুখের পরিবর্তে তিনি ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পরমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যিশু খ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শ খুবই প্রাসঙ্গিক বলে আমি মনে করি।

অপরদিকে পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে আমরা সবাই একসঙ্গে উৎসব পালন করি। আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এ দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিষ্ট জন্মগ্রহণ করেন। পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তন ছিল যিশু খ্রিষ্টের অন্যতম ব্রত। মহামতি যিশু বিপন্ন ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তার জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলীর জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন।