যে বছরে মন্ত্রিপরিষদে যোগ দিয়েছিলেন, সেই তথ্য পদত্যাগপত্রে ভুল লিখেছেন ডা. মুরাদ হাসান।পদত্যাগপত্রে ভুলের পর এবার ফেসবুকে মন্তব্য করতে গিয়েও ‘ভুল’ করলেন অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্যের জেরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো মুরাদ।
সম্প্রতি অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে মঙ্গলবার ফেসবুকে পোস্ট দেন তিনি। সেখানেই মন্তব্য করতে গিয়ে ফের ‘ভুল’ করেন মুরাদ।
প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই লাপাত্তা হন মুরাদ হাসান। জানা যায়, গতকাল (সোমবার) দুপুরেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে চলে গেছেন তিনি।তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। অবশেষে ফেসবুকে এক পোস্টে মিলল তার প্রতিক্রিয়া।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি যদি কোন ভুল করে থাকি অথবা আমার কথায় মা-বোনদের মনে কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।’
ওই পোস্টে পরে নিজেই একটি মন্তব্য করতে গিয়ে ভুল করেন ডা. মুরাদ।মন্তব্যে তিনি লেখেন, ‘ভুল করে সবাই নিজের ভুল মেনে নেয়ার সততা দেখায় না। আল্লাহ আপনাকে সঠিকভাবে ফিরিয়ে আনুন সকলের মাঝে।’
তুমুল বিতর্কের মুখে থাকা ডা. মুরাদের ওই মন্তব্যে অনেকেই হাসির ইমোজি দেন।নিজেই নিজেকে ‘আপনি’ সম্বোধন করে মন্তব্য করায় মুরাদ হাসানকে ‘তুলোধুনো’ করেন অনেক নেটিজেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতিমন্ত্রী থেকে পদত্যাগপত্রে মুরাদ লিখেছেন, তাকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ২০২১ সালের ১৯ মে। কিন্তু তাকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় ২০১৯ সালের ১৯ মে।২০১৯ সালে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করার পর ডা. মুরাদকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বছর মে মাসে তাকে স্বাস্থ্য থেকে সরিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।