বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের উদ্যোগে শহীদ নীরেন্দ্রনাথ দত্ত চত্বরে কেক কেটে নিশাতের জন্মদিন পালন করা হয়।
তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত ২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার এমন দিনেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পুরাতন মিশন হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মমিনুল হক একজন সমাজসেবক ছিলেন। বাবার আদর্শ লালন করে মানবসেবার কাজটি করে যাচ্ছে নিশাত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারীর অধিকার আন্দোলনে বিশেষ অবদান রেখেছেন নারীনেত্রী তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন ও সংগঠনের পরিচালক আরেফিন হৃদয় এর যৌথ পরিচালনায় কেক কেটে নারীনেত্রী এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাতের জন্মদিন পালন শেষে সবার মাঝে মিস্টি বিতরণ করা হয়।
তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাতের জন্মদিন পালন ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আল-আমিন শাহীন, প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, দৈনিক দিনকালের জেলা প্রতিনিধি নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, দৈনিক কালের কন্ঠ জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিত পাল বাবু, দৈনিক মানব কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি শফিকুল আলম ও নিউজ বাংলা ২৪.কম এর জেলা প্রতিনিধি মাজহারুল করিম অভি, মহিলা আওয়ামিলীগের আলম আরা দুলি ও এডভোকেট সাইফুল ইসলাম প্রমুহ।
তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরকে আন্তরিক ধন্যবাদ। বাতিঘরের এই উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। বাতিঘরের মানবিক কাজ গুলোর সাথে আমিও সম্পৃক্ত আছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর জেলার বিভিন্ন যায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া বেওয়ারিশ লাশ গুলো দাফনকাজ করে যথেষ্ট প্রশংসা কামিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের সদস্যদের মধে আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবায়েদ আহমেদ, আব্দুর রহমান, আরমান আদনান, সুহেল তানভীর, সাগর শাহারিয়ার, মো. নাঈম, রাসেল মিয়া, হাফেজ জাহিদ ও মুহাম্মদ নাঈম ও সোহাগসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট নিশাত জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ১৯৮৯ সালে ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারীদের ক্রীড়া বিকাশে তার বিশেষ অবদান রয়েছে। তিনি নারী সাংবাদিকতায় ফেলোশিপ প্রাপ্ত।
২০১৪ সালে সদর উপজেলা পরিষদে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর সদরের সহিলপুর ইউনিয়নের ঋষি সম্প্রদায়ের অবহেলিত নারীদের জীবন বদলে দিতে সক্ষম হন। সেখানে স্থায়ী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলেন। যেখানে নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিয়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিজের জীবন বদলাতে সক্ষম হন।
সর্বশেষ জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ২০১৯ সালে ‘সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী’ ক্যাটাগরিতে তাকে জেলা পর্যায়ে জয়িতা নির্বাচন করা হয়। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডায়বেটিস সমিতির সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন।