নিহতের পিতা খোদা নেওয়াজ অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ১৭/১৮ বছর আগে উপজেলার চান্দাইসার গ্রামের আবুল কালামের ছেলে শাহ আলমের সাথে বিয়ে হয় কাজলের। বিয়ের পর থেকে প্রায় সময়ই কাজলকে আমার বাড়ি থেকে বিভিন্ন সময় টাকা এনে দেয়ার জন্য তাকে মারধর করতো শাহআলম। গত এক-দেড় বছর যাবত বেশী মারধর করতো বাবার বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা এনে দেয়ার জন্য। স্বামীর নির্যাতনের ভয়ে প্রায় আড়াই মাস আমার বাড়িতেই ছিলেন কাজল। গত ১০ নভেম্বর কাজলের মেয়ে সোনিয়া আক্তার তার মাকে আমাদের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন।তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, এই টাকার জন্যই জামাই শাহআলম আমার মেয়েকে প্রাণে মেরে রশি দিয়ে হাত- পা বেধে এবং শরীরের সাথে পাটা বেধে, বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দেয়। পরে লোক দেখানো খুঁজাখুজি করে শাহ আলম। রোববার সকালে স্থানীয়রা পুকুরে ভাসমান অবস্থায় কাজল বেগমের লাশ দেখতে পেয়ে বাড়িতে খবর দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় স্বামী শাহ আলম।
নিহতের স্বামী শাহ আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে সে জানায়, সে গ্রামের পাশে পুকুর পাহাড়া দেয়। সে তার স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়ে কিছুই জানেনা।