খবরে বলা হয়, এই পদক্ষেপ নেয়ার পেছনে মূল লক্ষ্য বর্জ্য কমানো। এরকম নিয়ম তৈরি হলে নতুন যন্ত্র কিনলেও গ্রাহকরা পুরনো চার্জার ব্যবহার অব্যাহত রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে অ্যাপল আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, এই পদক্ষেপ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উদ্ভাবনীকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
অ্যাপলের স্মার্টফোনের জন্য আলাদা চার্জিং পোর্ট ব্যবহার হয়। তাদের আইফোন সিরিজে চার্জ দেয়ার জন্য অ্যাপলেরই তৈরি ‘লাইটনিং’ পোর্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বিবিসিকে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, “আমাদের আশঙ্কা এক ধরণের চার্জার তৈরিতে কড়া বাধ্যবাধকতা থাকলে তা উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা বদলে ব্যহত করবে, যার ফলে ইউরোপ এবং সারাবিশ্বের গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।”
বর্তমানে অধিকাংশ অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সাথে একটি ইউএসবি মাইক্রো-বি চার্জিং পোর্ট থাকে। অনেক অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই বর্তমানে ইউএসবি-সি চার্জিং পোর্টও থাকে।
আইপ্যাড ও ম্যাকবুকের নতুন মডেলে ইউএসবি-সি চার্জিং পোর্ট দেখা যায়। স্যামসাং এবং হুয়াওয়ের মত জনপ্রিয় ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের হাই-এন্ড মডেলেও ইউএসবি-সি চার্জিং পোর্ট থাকে।
২০১৮ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে যে পরিমাণ মোবাইল ফোনের চার্জার বিক্রি হয়েছিল, সেগুলোর প্রায় অর্ধেকই ছিল ইউএসবি মাইক্রো-বি চার্জার।
ওই বছরে ২৯% ফোনের চার্জারের সাথে ছিল ইউএসবি সি কানেক্টর এবং ২১% ক্ষেত্রে ছিল লাইটনিং কানেক্টর।
বর্তমানে প্রস্তাবিত নিয়ম অনুযায়ী যেসব ডিভাইসের জন্য একই ধরণের চার্জার থাকতে হবে, সেগুলো হল:
সেগুলো হল:
• স্মার্টফোন
• ট্যাবলেট
• ক্যামেরা
• হেডফোন
• পোর্টেবল স্পিকার
• হাতে ধরে ব্যবহার করার ভিডিও গেম কনসোল
ইয়ারবাড, স্মার্ট ওয়াচ এবং ফিটনেস ট্র্যাকারকে এই তালিকার অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি।
প্রস্তাবে চার্জিং স্পিডের বিষয়টিও উল্লিখিত হয়েছে – অর্থাৎ ফাস্ট চার্জ হতে পারে, এমন সব ডিভাইজ একই সময়ের মধ্যে চার্জ হবে বলে বলা হচ্ছে।