তবে দগ্ধ একজনের স্বজনের দাবি, বিকেলে মাদরাসার পাশের রাস্তায় হঠাৎ বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার বিস্ফোরিত হয়। এতে আগুনের ফুলকি মাদরাসার চতুর্থতলায় গেলে আটজন দগ্ধ হন।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, জেলার নবীনগর উপজেলার তালগাটি গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে নুসরাত (১০), সিরাজগঞ্জ জেলার আবু সাইদের মেয়ে সাদিয়া খাতুন (৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে রওজা আক্তার (১২), ভাদুঘর গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে নুসরাত (১১), একই এলাকার কাবির মিয়ার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া (৮), কসবা উপজেলার শিমরাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে উম্মে তাইসান (০৫) এবং মাদরাসার আয়ার দায়িত্বে থাকা ভাদুঘর এলাকার তুফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী আলেয়া (২২)।
মাদরাসার শিক্ষক ক্বারী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, মাদরাসাটি চারতলা ভবনে। এর বাইরে বৈদ্যুতিক তারের ওপর একটি কাপড় পড়েছিল। মাদরাসার দায়িত্বরত আয়া আলেয়া একটি স্টিলের পাইপ দিয়ে সেই কাপড় জানালা দিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন। লম্বা পাইপটি কাপড়ে লাগার সঙ্গে সঙ্গে স্পৃষ্ট হয়। এতে রুমের ভেতরে থাকা ছাত্রীদের গায়ে লাগে। তারাও আক্রান্ত হয়। আমরা ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছি।
এদিকে দগ্ধ শিক্ষার্থী সাদিয়ার বাবা মো. আবু সাঈদ বলেন, আমরা জানতে পেরেছি বুধবার বিকেলে মাদরাসার পাশের রাস্তায় হঠাৎ বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার বিস্ফোরিত হয়। এতে আগুনের ফুলকি মাদরাসার চতুর্থতলায় গেলে আটজন দগ্ধ হন। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নিয়ে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দগ্ধদের মধ্যে পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনকে জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।