অর্থাভাবে চোখের আলো হারাতে বসেছে রাহাতুল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 13 October 2025, 77 বার পড়া হয়েছে,

মো. আজহার উদ্দিন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : অভাব-অনটন আর অর্থের সংকটে চোখের চিকিৎসা করাতে পারছেন না ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের এক মেধাবী মাদরাসা শিক্ষার্থী মো. রাহাতুল ইসলাম (১৭)। ধীরে ধীরে ঝাপসা হয়ে আসছে তার দৃষ্টিশক্তি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্রুত চিকিৎসা না পেলে হয়তো তিনি পুরোপুরি দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন।

সরাইল উপজেলার অরুয়াইল পাকশিমুল গ্রামের হতদরিদ্র দিনমজুর সাইদুর রহমানের ছেলে রাহাতুল বর্তমানে পাকশিমুল মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসার নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। ছোটবেলা থেকেই তিনি মেধাবী ও পরিশ্রমী ছাত্র হিসেবে পরিচিত। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে তার চোখে জটিল সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসা শুরু হলেও অর্থের অভাবে থেমে গেছে তা।

রাহাতুলের বাবা সাইদুর রহমান জানান, প্রতিদিনের শ্রমের আয় দিয়েই কোনোভাবে সংসার চলে। ছেলের চোখের চিকিৎসার খরচ বহন করা তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। “ছেলের চোখের দৃষ্টিশক্তি হারানোর কথা চিন্তা করলেই বুকটা ফেটে যায়,” বললেন তিনি কণ্ঠ ভারী করে।

মাদরাসার সহকারী প্রিন্সিপাল মুফতি ফয়জুল্লাহ খুর্শিদী বলেন, “রাহাতুল খুব ভদ্র, পরিশ্রমী ও মেধাবী ছাত্র। চোখের সমস্যা দিন দিন গুরুতর হচ্ছে। কিন্তু অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। সমাজের দানশীল মানুষরা যদি একটু সহায়তার হাত বাড়ান, তবে হয়তো রাহাতুল আবার নতুন করে এই পৃথিবী দেখতে পারবে।”

মাদরাসা কর্তৃপক্ষ রাহাতুলের চিকিৎসার জন্য মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে। যেকোনো সহযোগিতা পাঠানো যেতে পারে নিচের বিকাশ নম্বরে—

চিকিৎসা সহায়তা পাঠানোর বিকাশ নম্বর: 01711-052037, মুফতি ফয়জুল্লাহ খুর্শিদী, সহকারী প্রিন্সিপাল, পাকশিমুল মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসা।
যোগাযোগ: মাওলানা জামাল উদ্দিন, শিক্ষা সচিব, অত্র মাদরাসা, 01616-420031

আসুন, আমরা সবাই মিলে রাহাতুলের পাশে দাঁড়াই। আপনার সামান্য সহায়তাই পারে এক মেধাবী শিক্ষার্থীর চোখে আলো ফিরিয়ে দিতে।