
উপদেষ্টা সকালে আন্তনগর ট্রেন মহানগর প্রভাতী যোগে ঢাকা থেকে ভৈরব এসে সড়কপথে সরাইলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। আশুগঞ্জের সোহাগপুর এলাকায় ঘণ্টায় মাত্র ১০ থেকে ২০ মিটার করে অগ্রসর হতে দেখা যায় তার গাড়িবহরকে। স্থানীয়রা বলেন, উপদেষ্টা নিজে এখন বুঝতে পারছেন, এই সড়কে প্রতিদিন সাধারণ মানুষ কতটা দুর্ভোগে পড়ে।
তবে সওজ কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি কোনো অস্থায়ী সংস্কার নয়, বরং স্থায়ী সমাধানের অংশ হিসেবেই কাজটি করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন ও সওজ সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সরাইল বিশ্বরোড হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় আট বছর আগে। ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।
তবে প্রকল্পের অগ্রগতি শুরু থেকেই ধীরগতির। সরকার পরিবর্তনের পর কাজ বন্ধ হয়ে যায় এবং ভারতীয় কর্মকর্তারা দেশ ছেড়ে চলে যান। প্রায় তিন মাস পর তারা ফিরে এলেও তখন অনেক নির্মাণসামগ্রী নষ্ট হয়ে যায়। গত ৫ আগস্টের পর থেকে কাজের গতি আরও মন্থর হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের দাবিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবেদন করলে সম্প্রতি সরকার ১৬৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সওজের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা অনেক আগেই প্রস্তুত ছিলাম। তবে নির্দেশনা ছাড়া বড় কাজ হাতে নিলে প্রশ্ন উঠত। এখন নির্দেশনা পাওয়ার পরই দ্রুত কাজ শুরু করা হয়েছে।