ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন দাবীতে রেলপথ অবরোধ, আশ্বাস পাওয়ার পর স্থগিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 1 March 2025, 19 বার পড়া হয়েছে,
শাহাদাত হোসেন সোহেল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ  স্টেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি এবং অধিক যাত্রী চলাচলের কথা মাথায় রেখে ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে নতুন একটি ট্রেন চালুর দাবিতে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে সম্মিলিত সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পাশাপাশি এ কর্মসূচীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও অংশ গ্রহণ করেন। এ সময় অবরোধের কারনে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে এসে আটকা পড়ে। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ আশ্বাস পাওয়ার পর বেলা সোয়া ১১টার দিকে আন্দোলন কারীরা তারা তাদের অবরোধ তুলে নেন। অবরোধ চলাকালীন সময়ে অবরোধের কারন ও যুক্তিক দাবী তুলে ধরে এতে বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোবারক হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ. বি. এম. মোমিনুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য, কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক ইব্রাহিম খান সাদাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরাইরা এবং তরী বাংলাদেশের আহ্বায়ক শামীম আহমেদসহ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, সরকারের রাজস্ব খাতে আয়ের দিক থেকে বিবেচনা করলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। কিন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য সব দিকে থেকে এখানকার যাত্রীরাই বেশি অবহেলিত। এ স্টেশন থেকে প্রায় প্রতিদিন গড়ে ৬-৭ হাজার যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন এবং এই স্টেশনে উঠানামা করেন। কিন্তু এর বিচারে এখানে যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত ট্রেন ও টিকিট সংখ্যা খুবই সীমিত।  যার ফলে ট্রেনে ভ্রমন করা এ জেলার সকল যাত্রীদের জন্য ভোগান্তি যেন নিত্য দিনের সঙ্গী। বক্তারা তাই অতি দ্রুত ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে নতুন একটি ট্রেন চালু ও আন্তঃনগর উপবন, বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।পাশাপাশি তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটিকে আরও আধুনিকায়ন এবং এর পাশাপাশি স্টেশনে সকল ধরনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধেরও দাবি জানান। তারা বর্তমানে এই রোটে সেবা দেওয়া তিতাস কমিউটার ট্রেনের সকল জরা- জীর্ণতা দূরে ঠেলে যাত্রী সাধারনের জন্য বিদ্যমান ট্রেনের সকল পূরাতণ বগি সরিয়ে  নতুন বগি সংযোজন করে সেবার মান আরও বৃদ্ধির দাবী জানান। অবরোধ চলাকালীন সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া রেলওয়ে স্টেশনে ছুটে আসেন এবং যাত্রীদের জন্য কোন ধরনের ভোগান্তি যাতে না হয় সেই দিক বিবেচনা করার অনুরোধ করেন পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে সর্বোচ্চ মহলে কথা বলার প্রতিশ্রুতি দেন। তখন তার আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন। তিনি বলেন,আমি আপনাদের এই যৌক্তিক দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবহিত করবো এবং আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আমরা সবাই একটি সঠিক সমাধানের চেস্টা করবো।