মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের কমিটিতে পুনর্বাসন করা ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে আনন্দবাজার কার্য্যকরী ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আনন্দবাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ সফি উল্লাহের অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি হাজী মোঃ সফি উল্লাহ বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত আওয়ামীলীগ দোসর দ্বারা আনন্দবাজারের ব্যবসায়ীরা শাসিত নিপীড়িত হয়ে এসেছে। এখন আওয়ামীলীগ পুনরায় এ বাজারকে শাসন করার চিন্তা করছে।
আনন্দবাজার কার্য্যকরী ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদিন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসরদের সম্পৃক্ত করতে চেষ্টা করেছিল। তাঁর এমন কর্মকাÐের জন্য কমিটির উপদেষ্টা মÐলীর ও কার্যকরী কমিটির সদস্যদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ৬ই ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার তাকে কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এস এম কামালকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার সদ্য বরখাস্তকৃত সাধারণ সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদিন এক ব্যক্তিগত আলোচনায় আমার বড় ভাইর বরাত দিয়ে আমাকে পাগল বলে সম্বোধন করে। আমি আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা জানাই এবং আমার মানহানি করায় মোঃ জয়নাল আবেদিনের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়েরের প্রস্ততি নিচ্ছি। পরে সাংবাদিকদের কাছে আনন্দ বাজার ব্যবসায়ী কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের ও কার্য্যকরী কমিটির সদস্যদের তালিকা হস্তান্তর করেন। আনন্দ বাজার ব্যবসায়ী কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা হচ্ছেন আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (সদস্য সচিব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি)। উপদেষ্টা পরিষদের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ হচ্ছেন হাজ্বী মোঃ ছানাউল হক ছানা,হাজ্বী আবু ছায়িদ (চেয়ারম্যান, নাটাই উত্তর), মোঃ শরীফ মিয়া, মোঃ জালাল উদ্দিন, হাজী মোঃ আবুল খায়ের, হাজী মোঃ ফরিদ মিয়া, হাজি মোঃ সোলমান মিয়া, মোঃ হোসেন মিয়া (ডিলার), মোঃ কবির মিয়া, মোঃ দেলোয়ার হোসেন দীলিপ, মোঃ খসরু মিয়া, মোঃ লোকমান মিয়া, হাজী মোঃ শামীম মিয়া, মোঃ শাহানুর আলম (শাহীন), মোঃ ইকরাম খাঁন, আরাফাত মোশাররফ খাঁন, হাজী মহব্বত আলী ও মোঃ মোস্তফা কামাল মস্তু। এছাড়া কার্য্যকরী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হাজী মোঃ সফি উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন এস এম কামাল। কমিটিতে আরও আছেন সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ সালাউদ্দিন (আলি টি), সহসভাপতি হাজি মোঃ আবু বকর, মোঃ ওসমান গনি নয়ন, মোঃ রিপন মিয়া, মোঃ আনিছুর রহমান আম্বর আলী, শ্রী শুভ্রজীৎ রায় (গোবিন্দ), হাজী মোঃ মোজাম্মেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (১) মোঃ শাহনুর খাঁন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (২) মোঃ হোসেন, ধর্ম বিষয়ক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ অলি উলাহ, প্রচার সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ হাজী মোঃ জামাল উদ্দিন, সহ-কোষাধ্যক্ষ মোঃ ইউসুফ মিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ হেলাল মিয়া, কার্য্যকরী সদস্য মোঃ মোশারফ মিয়া, মোঃ আব্দুল আলিম মিয়া, মোঃ নাছির মিয়া (কান্দিপাড়া), মোঃ সজিব মিয়া (কান্দিপাড়া), মোঃ গোলাম নবী দুলাল, মোঃ রাশেদ মিয়া, মোঃ বাশার মিয়া, মোঃ রতন মিয়া, মোঃ গোলাপ রানা, মোঃ প্রবাস মিয়া, মোঃ হেবজু মিয়া, মোঃ আক্তার মিয়া, শ্রী শিপ্লব রায় চৌধুরী, শ্রী বিধু ভ‚ষণ রায়, মোঃ মামুন মিয়া, মোঃ আজমান আলী, মোঃ তাজু মিয়া, মোঃ বাদশা মিয়া, মোঃ নিপ্পন মিয়া, মোঃ রমজান মিয়া, মোঃ নাইম হোসেন, হাজী মোঃ সুমন মিয়া, মোঃ সোহান মিয়া, মোঃ খায়েস মিয়া, মোঃ আজিম মোলা, মোঃ মাহবুব মিয়া, মোঃ সালাউদ্দিন, মোঃ ইসরাইল, মোঃ সাইমুল, মোঃ সাদেক, মোঃ ওসমান, মোঃ শাহ আলম, মোঃ জামান মিয়া, মোঃ বজন মিয়া, ও মোঃ সাদেকুর রহমান।
উল্লেখ্য, বুধবার বিকেলে শহরের আনন্দবাজারে আয়োজিত ব্যবসায়ীদের সভায় সদ্যঘোষিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দবাজার ব্যবসায়ী কমিটিকে অবৈধ ও “পকেট কমিটি” বলে আখ্যায়িত করে এই কমিটি গঠনের জানান, আনন্দ বাজার অধীনস্থ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম।