
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের বিশুতারা গ্রামের বড়বাড়ি বংশের দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
নিহত দুইজন হলেন বিশুতারা গ্রামের আজাদ আলী (৫৮) ও একই গ্রামের আমানত আলী (৬০)।
পূর্ববিরোধের জের ধরে গত আট বছরে উভয় পক্ষের এক নারী ও এক পুরুষ খুন হয়েছেন।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে ২০১৪ সাল থেকে আজাদ আলীর সঙ্গে তার সৎভাই ছায়েদ আলীর বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে বড়বাড়ি বংশের লোকজন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। কিছুদিন পরপর তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে আজাদ আলীর বাড়িতে ঢুকে তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দা, বল্লম, ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সরাইল-অরুয়াইল সড়কের ওপর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে গুরুতর আহত হন আমানত আলীসহ অন্তত ১০ জন।
আমানত আলীকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত দুইজনের মধ্যে আজাদ আলী ছিলেন ব্যবসায়ী আর আমানত আলী ছিলেন কৃষিশ্রমিক।
ঘটনার বিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল হাসান সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোকে বলেন, “দীর্ঘদিনের পূর্ববিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। লাশ দুটি জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে আছে। গ্রামে পুলিশ মোতায়েন আছে। গ্রামের পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।