মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে সাকিল মিয়া (২০)। পরিবার নিয়ে তারা থাকেন নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায়। সেখানেই আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হন সাকিল।
তার পিঠে ও কানে বেশ কয়েকটি গুলি লাগে। ভাইসহ স্বজনরা গুলি বের করে বাড়িতেই চিকিৎসা দেন। গুলির ব্যথায় এখনো তিনি কাতর হয়ে পড়েন। সাকিলরা দুই ভাই ও এক বোন।
চাষাঢ়ায় একটি হার্ডওয়্যার ও ইলেকট্রনিকসের দোকানে ম্যানেজার হিসেবে আছেন সাকিল। জানালেন, দোকান মালিক মিজান আহমেদও আন্দোলনে যোগ দিতে উৎসাহ দিয়েছেন। যে কারণে নির্বিঘ্নে আন্দোলনে যোগ দিতে পেরেছেন।সাকিল বলেন, ‘শুরু থেকেই আন্দোলনের পক্ষ ছিলাম। স্বৈরাচার পতনই ছিল আমাদের লক্ষ্য।
চাষাঢ়া এলাকাতে অনেক সহ-কর্মীসহ পরিচিতজনদের নিয়ে আন্দোলনে যেতাম। ৪ আগস্ট পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ হচ্ছিল আন্দোলনকারীদের সামনের ভাগেই ছিলাম।’
হঠাৎ এলোপাতাড়ি গুলি শুরু হয়। চোখের সামনেই অনেকে হতাহত হয়ে পড়ে থাকে। গুলি লাগে আমার শরীরেও। উদ্ধারের পর বাড়িতেই চলে আমার চিকিৎসা। ভয়ে হাসপাতালেও চিকিৎসা নিতে পারিনি।
সাকিল মিয়া আরো বলেন, ‘আমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছি, শান্তির জন্য লড়েছি। আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সফল হয়েছে। আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। এখন আমরা নতুন একটি বাংলাদেশ চাই। সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।