সেই গুলি ছোড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরেক সহযোগী মাঈনউদ্দিন সাঞ্জুকে (৩৯) অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, ‘গত ৩০ আগস্ট চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক শোকসভার আয়োজন করা হয়। ওই শোকসভায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের জেরে গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে। অবরোধের সময় রাস্তায় আগুন দেওয়া হয়। একই সময় অস্ত্র উঁচিয়ে গিয়াস উদ্দিনকে গুলি করতে দেখা যায়। সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এ ঘটনায় চন্দনাইশ থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা করা হয়। গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয় ১০ জনকে। অপরদিকে মো. আবুল ফয়সাল নামে এক ছাত্রলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিনকে এক নম্বর আসামি করে ২১ জনের নামে পাল্টা মামলা করেন।
এ ঘটনাটি চট্টগ্রামজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়। এ মামলার তদন্ত শুরু করে র্যাব। এরপর শনিবার ভোরে সহযোগীসহ সাবেক যুবলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম র্যাবের সহকারী পরিচালক মিডিয়া নুরুল আবছার জাগো নিউজকে বলেন, ‘অস্ত্রসহ গ্রেফতার গিয়াস উদ্দিন ও তার সহযোগীকে চন্দনাইশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।