ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিডিসিএল’র ডিজিএম’র বিরুদ্ধে বৈধ পাইপলাইন অপসারণের অভিযোগ 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 30 April 2024, 54 বার পড়া হয়েছে,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (বিজিডিসিএল)উপ- মহাব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার ফুট বৈধ গ্যাস পাইপলাইন অপসারণের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি জেলা শহরের পৈরতলা, পুনিয়াউট ও ছয়বাড়িয়া মৌজায় বিজিডিসিএলের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলমের নির্দেশে পাইপলাইনগুলো অপসারণ করা হয় বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। এর ফলে ওই তিনটি মৌজার আবু আকরাম প্রজেক্টের ২০-২৫টি পরিবার গ্যাস পাচ্ছেন না। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পরিবারগুলো।
অভিযোগ উঠেছে, উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ আলম গ্রাহকদের কাছে থাকা বৈধ কাগজপত্র যাচাই-বাছাই না করেই গ্যাস সরবরাহের পাইপলাইনগুলো অপসারণের নির্দেশ দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৪ সালে মেসার্স মেটকো অ্যান্ড কনস্ট্রাকশনের নামে ‘রাইজার পর্ব-২’ এর কার্যাদেশ দেয় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়। এর মধ্যে ১৮ আগস্টের কার্যাদেশ নং-১৫ ও ২ অক্টোবর কার্যাদেশ নং-২৬ মূলে পৈরতলা মৌজায় আবু আকরাম ও জালাল আহমেদ,  ছয়বাড়িয়া মৌজার আব্দুল কাইয়ুম ও লুৎফা খানম এবং পুনিয়াউট মৌজায় আবু আকরামের নামে গ্যাস সরবরাহ পাইপলাইন বসানোর অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে কার্যাদেশ পেয়ে রাইজার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেটকো অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন বাখরাবাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নির্ধারিত স্থানে গ্যাস পাইপলাইন স্থাপন করে। ওই পাইপলাইনের মাধ্যমে পরবর্তীতে আরও গ্রাহক বাখরাবাদ থেকে গ্যাস নেওয়ার অনুমোদন পায়। আর পাইপলাইন স্থাপনের পর আবু আকরাম, জালাল আহমেদ, আব্দুল কাইয়ুম ও লুৎফা খানমরা নিয়মিত বিলও পরিশোধ করে আসছিলেন।
এ দিকে, অবৈধ গ্রাহকদের বিরুদ্ধে বাখরাবাদের অভিযানে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ গ্যাস পাইপলাইন অপসারণ কার্যক্রমকে পুঁজি করে উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ আলম বিভিন্ন সময় অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ উঠে। সম্প্রতি পৈরতলা, পুনিয়াউট ও ছয়বাড়িয়া মৌজার মোহনায় অবস্থিত আবু আকরাম প্রজেক্টে শাহআলমের নেতৃত্বে অভিযান চালায় বাখরাবাদ। তবে নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহকের কাগজপত্র যাচাই না করেই সেখানকার গ্যাস সঞ্চালন লাইনটি অবৈধ ঘোষণা করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন শাহআলম। এ সময় গ্যাস গ্রহীতারা নিজেদের সংযোগ বৈধ দাবী করে কাগজপত্র উত্থাপন করলেও তিনি কারও কথা আমলে নেননি। পরবর্তীতে গ্রাহকরা নিজেদের কাগজপত্র নিয়ে বাখরাদের কার্যালয়ে গিয়ে উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহআলমের কাছে বারবার ধর্না দিলেও তিনি পুনরায় গ্যাস সংযোগ দিতে অপারগতা জানান।
গ্যাস গ্রহীতা আবু আকরাম ও লুৎফা খানম জানান, আমরা নিয়ম মেনেই ২০১৪ সালে গ্যাস সংযোগ নিয়েছি। আগেও বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ আমাদের এখানে এসেছিল। কিন্তু বিল যাচাই করে সংযোগ বৈধ হওয়ায় তারা ফিরে গেছেন। শাহআলম সাহেবের অযাচিত সিদ্ধান্তে আমরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছি। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।
আরেক গ্রাহক আব্দুল কাইয়ুম জানান, শাহআলম সাহেবের কথাই ওই অফিসে সব হয়, তাকে তোয়াজ না করলে নাকি আমরা আমাদের লাইন ফেরত পাব না। গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আমরা পরিবার নিয়ে অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছি।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রকৌশলী শাহআলমের মুঠোফোনে কল করলে তিনি তার অফিসে যাওয়ার জন্য বলেন।