সুপ্রিম কোর্টের রায় সত্ত্বেও মন্দির ও শ্মশান ভূমি থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ না হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিবাদ সভা 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 27 February 2024, 40 বার পড়া হয়েছে,
মোঃ নিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুহিলপুরে হিন্দু মহাদেব মন্দির ও শ্মশানের জায়গা থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও সুপ্রিম কোর্টের রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারী দুপুরে সদর উপজেলার সুহিলপুর বাজার চত্বরে হিন্দু মন্দিরের শ্মশান কমিটির উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে হিন্দু মন্দির ও শ্মশান কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার দত্তের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র শিক্ষক কৃষ্ণ কুমার দত্তের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সুহিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রাণ সম্পাদক সাচ্ছু মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী খায়রুল আলম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সজল দেব, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুজন দত্ত, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র চৌধুরী, সাদ্দাম হোসেন, সুহিলপুর ইউপির ৯নং ওয়ার্ড সদস্য নিশি কান্ত রিশি, রাশেদ মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগ বকুল হাজারী, পল্লী চিকিৎসক নয়ন মনি দেব, বাকাইল গ্রামের হিন্দু সমাজের সভাপতি অমৃত লাল দাস, হিন্দু মহাদেব মন্দির ও শ্মশান কমিটির উপদেষ্টা সুকান্ত দাস প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সুহিলপুর মৌজার ১২৬৫ দাগে ৩১ শতক ভূমিতে সনাতন ধর্মের মৃত ব্যক্তিদের শেষকৃত অনুষ্ঠানাদি পালন করে দাহ এর কাজ সম্পন্ন করে আসছিল। কিন্তু অবৈধ জবর দখলদারদের জোরপূর্বক দখলের কারণে দীর্ঘদিন পূর্বে সৎকার বা দাহ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া এই ভূমিতে বিগত এস.এ জরিপমলে জরিপ কর্মচারীগনের গাফিলতির কারণে নালিশা ভূমি খাস খতিয়ান হিসেবে রেকর্ডভূক্ত হয়। এতে এলাকার কিছু জবর দখলকারী ভূমি দস্যুরা মন্দিরসহ শ্মশান ভূমিটি অবৈধভাবে দোকাপাট নির্মাণ করে। দীর্ঘ ৩০ বছর মামলা-মোকদ্দমা শেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট থেকে শ্মশ্মান এর পক্ষে রায় দিয়েছে। কিন্তু রায় ঘোষণার ৬ মাস অতিবাহিত হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ
দখল উচ্ছেদে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এদিকে একটি কুচক্রি মহল জায়গাটি লীজ নেওয়ার পায়তারা করছে। বক্তারা এ ঘটনায় তারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সে সাথে দ্রুত আদালতের রায় বাস্তবায়িত না হলে এবং শ্মশ্মানের ভূমি নিয়ে কোন রকম পায়তারা করলে আগামীতে কঠোর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম শেখ ভূমিটিকে খাস জমি দাবী করে বলেন, উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দেয়া আছে। যখন প্রয়োজন হবে তখন খাস জমি থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। এছাড়া বি.এস জটিলতায়মন্দির ও শ্মশ্মানের ভূমি খাস খতিয়ানে অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএস এ কোন রকম জটিলতা হয়ে থাকলে উপযুক্ত তথ্যাদি দিয়ে আদালতে আশ্রয় নিলে আদালত যে রায় দেন তা মেনে নেয়া হবে।