মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বিতীয় অদ্বৈত গ্রন্থমেলা। মেলার দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি ছিল কবি কণ্ঠে কবিতা পাঠ, দলীয় আবৃত্তি, একক নৃত্য, নাটক ও সংগীত অনুষ্ঠান।
এছাড়াও এদিন দুই বাংলার অতিথিদের অংশ গ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
গতকাল একুশে ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত একর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন, অদ্বৈত গ্রন্থমেলার আয়োজক কমিটির আহবায়ক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবি মো. আ. কুদদূস। এদিন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বঙ্গীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংসদের জেলা শাখার সভাপতি কবি আবদুল মান্নান সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, তিতাস সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের উপদেষ্টা কবি ও গীতিকার মো. আব্দুর রহিম, চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার-এর সভাপতি কবি আমির হোসেন, ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত কবি সঞ্জীব দে, হরিদাস দেবনাথ।
অনুষ্ঠানে আব্দুল মতিন শিপনের উপস্থাপনায় কবি কণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্থানীয় কবিগণ।
এছাড়াও দলীয় আবৃত্তি ও একক নৃত্য পরিবেশন করে সোনালি সকাল সংগঠনের সদস্যবৃন্দ, নাটক পরিবেশন করে সাহিত্য
একাডেমির নাট্যদল, সংগীত পরিবেশন করে আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিল্পীবৃন্দ। এদিন বিপুল পরিমাণ দর্শক এসব অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
এছাড়াও প্রতিদিনের মতো মেলায় বিভিন্ন স্টলে লেখক-পাঠকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে কবি মো. আ. কুদদূস- অদ্বৈত মল্লবর্মনের জীবনদর্শন ও জীবন চেতনা নতুন প্রজন্মের শিশুদেরকে জানিয়ে দিতেই আমাদের এই মেলার আয়োজন।
অদ্বৈতর স্মৃতিকে ধারণ করতে অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই গ্রন্থাগারের মাধ্যমে কালজয়ী এ ঔপন্যাসিকে স্মরণ ও গবেষণার পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করবে আমাদের এই প্রতিষ্ঠান। তিনি মেলায় আগত সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রতিদিনের অনুষ্ঠান উপভোগ করার আমন্ত্রণ জানান।