মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ৩’শ বছরের প্রাচীন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর বড় বাজার। উপজেলার অর্থনীতির ভীত বলা হয় এই বাজারকে। সম্প্রতি প্রধান এই বাণিজ্যিক কেন্দ্রের ভবিষ্যত কার্যক্রম নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। চলমান আশুগঞ্জ-নবীনগর সড়ক নির্মাণে বাজারের বৃহৎ অংশ পড়বে অধিগ্রহণের আওতায়। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অধিগ্রহনের ফলে পুরোপুরি ধ্বংস হবে বাজারের কার্যক্রম। এতে উপজেলার অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাবের পাশাপাশি বেকার হবে অন্তত ৬/৭ হাজার পরিবার। তাই বাজারটি রক্ষায় সড়কের নকশা পরিবর্তনের দাবী তাদের।
তিতাস নদীর তীরে প্রায় ৩’শ বছর আগে গড়ে উঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘নবীনগর বড় বাজার’। যেখানে প্রতিদিনের পাশাপাশি সপ্তাহে বসে দুটি বৃহৎ হাট।
প্রতিদিনই উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় সরগরম থাকে এ বাজার। সম্প্রতি বাজারের ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। চলমান আশুগঞ্জ-নবীনগর মহাসড়ক নির্মাণে বাজারের বৃহৎ অংশ পড়বে অধিগ্রহণের আওতায়। এতে বাজারের ভিটি দোকানসহ রয়েছে বহুতল ভবনও। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বাজার রক্ষায় তারা বিক্ষোভ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচী পালন করেছেন। তাদের দাবী বাজারের উপর দিয়ে মহাসড়ক নির্মিত হলে ধ্বংস হবে বাজারের সার্বিক কার্যক্রম। এতে কর্মহীন হয়ে পড়বে ৬/৭ হাজার পরিবার। সে সাথে বাড়বে দুর্ঘটনা।
নবীনগর বড় বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ মনির হোসেন জানান, উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র রক্ষায় সড়কের এলাইনমেন্ট (নকশা) পরিবর্তন অথবা ফ্লাইওভারের দাবী এই ব্যবসায়ী নেতার।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ভূমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় সড়কের এলাইনমেন্ট নিয়ে নতুন করে চিন্তা করার সুযোগ রয়েছে। তবে তা নির্ভর করে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির যাচাই-বাছাইয়ের উপর। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে আশুগঞ্জ-নবীনগর ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের নির্মাণকাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৪শ ৩৬ কোটি টাকা।