নবীনগরে দীর্ঘ ২৫ বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে পশু হাসপাতাল চালুর উদ্যােগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 12 February 2024, 190 বার পড়া হয়েছে,
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ২১ নং রতনপুর ইউনিয়নের শাহপুর এলাকার একমাত্র পশু চিকিৎসা কেন্দ্রটি অযত্ন অবহেলা ও তদারকির অভাবে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পরে আছে।
এই হাসপাতালে দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ নেই কোন পশু চিকিৎসক।
চিকিৎসক না থাকায় প্রায় ভোগান্তিতে পরছেন এই অঞ্চলে গড়ে ওঠা পোলট্রি, ডেইরি খামারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় গবাদিপশু পালনকারীরা।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, রতনপুর ও আশপাশের এলাকায় রয়েছে প্রায় ২০টি গ্রাম। যেখানে বিপুল সংখ্যক গবাদি পশু লালন-পালন করা হয়।
সম্প্রতি এখানে গড়ে উঠেছে অনেক পোল্ট্রি ও ডেইরি ফার্ম। এ ছাড়া এলাকাগুলোতে অনেকেই হাঁস, মুরগি, কবুতর, খরগোশ, বিড়াল, কুকুরসহ বিভিন্ন প্রাণী পোষেন। কেউ আবার শখ করে বাড়ির ছাদে খামার করেছেন। তাই প্রায় সময় এসব প্রাণীর চিকিৎসা সেবা ও ঔষধপত্র প্রয়াজন হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় প্রায়ই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে পোষা প্রাণী।
জানা যায়, রতনপুর ইউনিয়নে শাহপুর এলাকায় অবস্থিত এই হাসপাতালটির বর্তমান অবস্থা খুবই শোচনীয়, ভবনের অবস্থাও জরাজীর্ণ। দীর্ঘ দিন হাসপাতালের ভবন সংস্কার করা হয় না। চারপাশে কোন সীমানা প্রাচীর নেই, নেই কোন আসবাপত্র। এমনকি নেই কোনো চিকিৎসা সরঞ্জাম ও প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ।
পশু হাসপাতালটির এই যখন অবস্থা, তখন স্থানীয় নুরুল ইসলাম বাদল, হাবিবুর রহমান মোমেন ও তার সহধর্মিণী সামসুন নাহার জেনী হাসপাতালটি পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোস্তফা কামাল চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি হাসপাতালটি সরেজমিনে পরিদর্শন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এবং গত ১২ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) ডা. শামীম আহমেদ উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার, নবীনগর ও মো. বজলুর রহমান উপসহকারী প্রাণীসম্পদ অফিসার উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর নবীনগর কে সঙ্গে নিয়ে জেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোস্তফা কামাল চৌধুরী সরেজমিনে পশু হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালটি পুনরায় চালু করার বিষয়ে রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে স্থানীয় নুরুল ইসলাম বাদল এর সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা করেন। এ-সময় তিতাস বার্তা’র সম্পাদক সাংবাদিক এম,এ, মতিন সানু, জনতার খবর এর সম্পাদক সাংবাদিক আদিত্ব্য কামাল, হাবিবুর রহমান মোমেন সহ-সম্পাদক তিতাস বার্তা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সামসুন নাহার জেনী সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকতা ড. মোস্তফা কামাল চৌধুরী বলেন, অতি শিগগিরই উর্ধতন কর্মকতাগণকে বিষয়টি অবগত করে হাসাপাতালটি পুনরায় চালু করার চেষ্টা করবেন।
পশু হাসাপাতালটি দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত বন্ধ থাকায় মানুষের গবাদী পশুর সুচিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত থাকার পরিপ্রেক্ষিতে এই সেবাটি বর্তমানে প্রতিদিনের জন্য চালু করা হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এবং প্রতি সোমবার একজন ডাক্তার নবীনগর থেকে আসবেন। এই সেবার বিষয়টি এলাকার সকলের অবগতির জন্য মাইকিং করানো হবে বলেও জানান তিনি।