ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ ০৩ জন গ্রেফতার 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 10 January 2024, 32 বার পড়া হয়েছে,
মোঃ নিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ ০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৯।
ভিকটিম মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিক (২৫), পিতা- মোঃ ধন মিয়া খন্দকার, সাং- গৌতম পাড়া, থানা-সদর, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া পেশায় একজন ট্রাক চালক ছিলেন। গত ৩ নভেম্বর শুক্রবার বিকালে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ভিকটিমের চাচাতো ভাই বাক প্রতিবন্ধী মোঃ আব্দুল্লাহর সাথে বিবাদী পক্ষের লোকজনের কথা কাটাকাটি হয় এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬.৩০ ঘটিকার সময় বিবাদীরা ভিকটিমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানাধীন তিতাস পেট্রোল পাম্পের পূর্ব-দক্ষিনে জনৈক স্বপন বাবুর পাইপ ফ্যাক্টরীর ভিতরে একা পেয়ে এলোপাথাড়ি মারধর ও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরবর্তীতে, স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে মুমূর্ষুঅবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করে। এই ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ
করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় গত ৫ নভেম্বর রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-০৬/৫০২, তারিখ-০৫/১১/২০২৩ ইং, ধারা-৩৪২/৩০২/৩৪ পেনাল কোড।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এরই প্রেক্ষিতে আসামীদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব-৯ চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের ছায়া তদন্তশুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৯, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানির একটি আভিযানিক দল অদ্য ৯ জানুয়ারি রাতে ( ৮ জানুয়ারি দিবাগত রাতে) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন সোহাগপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামী মোঃ কাছম আলী সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা- মোঃ কাছম আলী (৫৫), মোঃ রিয়াদ মিয়া (২০), মোঃ জামান মিয়া (২৭)।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও, যেকোন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।