এসময় মাইনুল হাসান তুষারের সাথে তার দুইজন সহযোগী ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাইনুল হাসান তুষার বলেন, সকালে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। তারপর তা পূরণ করে কিছুক্ষণের মধ্যে জমা দিয়েছি।
তিনি বলেন, প্রত্যাশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাথে খুব শীঘ্রই সাক্ষাৎ করতে পারবো। উনার প্রতি আমি এবং আমার পরিবার কৃতজ্ঞ। আমার বাবার জীবনের শেষ সময়ে তিনি মূল্যায়ন করেছেন, সম্মান দিয়েছেন। আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিয়েছি। প্রত্যাশা করছি উনি আমার বাবার অসমাপ্ত কাজ গুলো বাস্তবায়নের সুযোগ দিবেন।
এর আগে সাথে একান্ত আলাপচারিতায় মাইনুল হাসান তুষার জানিয়েছিলেন, আমার বাবা জীবনের প্রথম নির্বাচন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ গ্রহণ করে জয়লাভ করেছিলেন। তারপরও বিএনপিতে যোগদান করার পর কোন নির্বাচনে তিনি পরাজিত হননি। সর্বশেষ নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এমপি হিসেবে জয়লাভ করেন। আবার বিএনপির দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগও করেন। কিন্তু তাকে বিএনপি সম্মান দেয়নি। তাই পদত্যাগের পর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উনার আসন থেকে জনগণের ভালবাসায় পূনরায় নির্বাচিত হন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ আমার বাবার পাশে ছিলেন, উনাকে মৃত্যুর আগপর্যন্ত সম্মান দিয়েছে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমি এবং আমার পরিবার কৃতজ্ঞ।
বহুল আলোচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসনের এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইন্তেকাল করেছেন। তার মৃত্যুতে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) আসনটি শূন্য ঘোষণা করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ ৫ নভেম্বর।
উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তিতে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ও জুনের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকার থেকে টেকনোক্রেট মন্ত্রী হিসেবে আবদুস সাত্তার আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারো ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে বিএনপি এর মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। ২ জানুয়ারি ২০২৩ সালে তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচন আওয়ামী লীগের সমর্থনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন। বিষয়টি দেশজুড়ে তখন আলোচনা সৃষ্টি হয়।
এদিকে, সর্বশেষ শনিবার দুপুর পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে মোট ১৪জন ফরম সংগ্রহ করেছেন। রোববার (৮ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে।