সরকারকে কোন অশুভ শক্তিই রক্ষা করতে পারবে না -ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গয়েশ্বর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 21 September 2023, 115 বার পড়া হয়েছে,
নিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশ বাঁচাতে, মানুষ বাঁচাতে তরুণ সমাজ আজ জেগে উঠেছে। শেখ হাসিনা সরকারকে আর কোন অশুভ শক্তিই রক্ষা করতে পারবে না। তারুণ্যের যে রোডমার্চ শুরু হয়েছে তা সরকার পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট অভিমুখে তারুণ্যের রোড মার্চে যাত্রাপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে নেতকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামীলীগ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে মঙ্গলবার সকালে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থেকে
এ রোডমার্চ শুরু হয়। রোডমার্চটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার হয়ে সিলেট গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এই রোডমার্চের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
রোডমার্চ কর্মসূচিকে স্বাগত জানাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেরর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ, সরাইল বিশ্বরোডের মোড় ও কুট্টাপাড়া, বিজয়নগর উপজেলার এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর ঢল নামে। এ সময় তারা শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগসহ বিভিন্ন শ্লোগানে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সমবেত হন। সে সাথে মিছিলে মিছিলে মুখরিত করে তুলেন চারপাশ।
এসময় বিশ্বরোড মোড়ে গাড়ি থেকেই নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আমাদের আন্দোলন ‘ডু অর ডাই’। হয় বাঁচব, না হয় মরে যাব। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি আন্দোলনের ফসল ঘরে না তোলা পর্যন্ত নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহবান জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলাদেশের জনগনের বিরুদ্ধে যে অগণতান্ত্রিক শক্তি দাঁড়িয়েছে তারা জনগনের সামনে টিকে থাকতে পারবেনা। দেশের মালিকানা নিয়ে দেশের মানুষ বাড়ি ফিরবে। গায়েবী মামলা, গ্রেফতার, গুম, খুন আর মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে রক্ষা হবে না। অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত কেউ বাড়ি ফিরবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নর ২৭টি দেশ পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই। নিরপেক্ষ সরকার ব্যতীত বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হবে না। রোডমার্চটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমানায় পৌছলে দলের কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম খোকন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামীম ও যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা এস.এন তরুন দেসহ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নেতৃত্বে রোডমার্চকে স্বাগত জানিয়ে শোডাউন করা হয়। পরে রোড মার্চটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিক্রম করে হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। জানযায়, রোড মার্চটি হবিগঞ্জ থেকে মৌলভীবাজার হয়ে সিলেটে গিয়ে শেষ হবে।
এদিকে রোডমার্চকে কেন্দ্র ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে যান চলাচল ছিল ধীর গতি। খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশ বেশ কয়েকটি টিম যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য নিরলস ভাবে কাজ চালিয়ে যায়।