ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহ্যবাহী খড়মপুর কেল্লা শহিদের মাজারে ওরস শুরু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 10 August 2023, 113 বার পড়া হয়েছে,

নিউজ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় খড়মপুরের প্রখ্যাত আউলিয়া শাহ্ সৈয়দ আহাম্মদ গেছু দারাজ (র.) প্রকাশ্য শাহ্পীর কেল্লা শহিদ (র.) মাজার শরীফের সাত দিনব্যাপী বাৎসরিক ওরস শুরু হয়েছে।

১০ আগস্ট, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ওরস চলবে আগামী ১৬ আগস্ট বুধবার পর্যন্ত।

১৪ আগস্ট, সোমবার দিবাগত রাত ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ মোনাজাত। যা আখেরি মোনাজাত হিসেবে প্রচলিত। ওরস উপলক্ষ্যে প্রতিদিন ভক্ত আশেকানরা ইবাদত বন্দেগি, নামাজ, জিয়ারত, কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে দোয়া কামনা করবেন। প্রতিদিন ভক্ত আশেকান মেহমানদের মাঝে তবরুক বিতরণ করা হবে।

সপ্তাহব্যাপী ওরশ এবং মাসব্যাপী মেলাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত এসব গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড নির্বিঘ্নে পালনে প্রশাসনও নিয়েছেন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

মাজার কমিটি সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও যথাযথ পবিত্রতা রক্ষা করে বাৎসরিক ওরস মোবারক শুরু হয়েছে। ওরসকে কেন্দ্র করে মাজার এলাকায় ইতোমধ্যে মাসব্যাপী মেলা বসেছে। মেলায় কাঠ, বাঁশ, বেতের আসবাবপত্র, কসমেটিক্স, প্লাস্টিক পণ্য, খেলনাসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা নিয়ে বসেছে বিক্রেতারা। ওরসে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে ধর্মীয় আলোচনা, জিকির, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। ওরস উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়ে থাকে।

এছাড়া প্রতিদিন উপস্থিতিদের মাঝে তবারকও বিতরণ করা হয়। মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খাদেম (মিন্টু) জানান, সুষ্ঠুভাবে বাৎসরিক ওরস উদযাপনে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

শান্তিপূর্ণভাবে ওরস উদযাপনের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। মাজার শরীফের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সে সাথে নৌপথের নিরাপত্তায় নৌকাযোগে পুলিশি টহলের ব্যবস্থা রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিটও দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার জন্য রয়েছে মেডিকেল টিম। এছাড়া প্রায় ২০০ খাদেম যুবকেরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ভক্ত-আশেকানদের খেদমতে নিয়োজিত রয়েছে।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, ওরসের নিরাপত্তায় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ৬ শতাধিক সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও টহল দিবে।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও খড়মপুর মাজার কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি অংগ্যজাই মারমা বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ওরস পালনে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ওরস উপলক্ষ্যে মাজার শরীফ এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। খড়মপুর মাজার কমিটি অফিসে একটি কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। সেখানে সবাই যোগাযোগ করতে পারবে। ওরসকে কেন্দ্র করে এলাকায় যাতে মাদকের ছড়াছড়ি না হয় সেজন্য বিজিবি সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে। মাজারের ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য বজায় রাখতে আমাদের সতর্ক খেয়াল থাকবে।