ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় আরও ৫৮টি পরিবার পেল ভূমিসহ ঘর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 10 August 2023, 99 বার পড়া হয়েছে,
নিউজ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় ৫৮টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। বুধবার (০৯ আগস্ট) সকাল ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। আর ৫৬টি ঘর হস্তান্তর করা হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলাকে ভূমিহীন হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
জমিসহ ঘর হস্তান্তর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জিয়াউল হক মীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সেলিম শেখ, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশাররফ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।

সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সুবিধাবঞ্চিত ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদের পুনর্বাসন করার জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার ৫৮টি পরিবারকে ২ শতক জমিতে একটি সেমিপাকা গৃহ নির্মাণ করে ক শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় মোট ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৬ হাজার ১৪২টি। এরমধ্যে প্রথম পর্যায়, দ্বিতীয় পর্যায়, তৃতীয় পর্যায় ও চতুর্থ পর্যায়ে (১ম ধাপ) মোট ৫ হাজার ৯৫২টি ঘর উদ্বোধন করা হয়।
বুধবার উদ্বোধন চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপের ঘরসমূহের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ৫৮টি ঘর দেয়া হয়েছে। সদর উপজেলার ৫৮ টি ঘরের মধ্যে ক শ্রেণির পরিবারের মধ্যে ২৫ পরিবারকে মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়ায় এবং ১২ টি পরিবারকে মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর গ্রামে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পাশাপাশি চিনাইর গ্রামে ১৯৯৭ সালে নির্মিত লাখুনিয়া দিঘী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাকের জীর্ণশীর্ণ ঘরের স্থলে ২১ টি একক গৃহ নির্মাণ করে পূর্ব থেকে বসবাসকারী এই পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ঘরের জমি হস্তান্তরের সময় প্রত্যেককে একটি করে গাছ উপহার দেন অতিথিরা।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসাইন বলেন,  উপকারভোগীদের নিকট ঘরের চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সকল উপকারভোগী নির্মিত এই ঘরে বসবাস করবে। সমাজের মূলধারার মানুষের সঙ্গে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষসহ তৃতীয় লিঙ্গ, ভিক্ষুক, বেদেসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের জন্যও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নয়টি উপজেলায় নির্মিত হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই ঘরগুলো।