নাসিরনগরে ছাত্রদল করায় চাকরি থেকে ‘ছাটাই’, একা দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 24 July 2023, 110 বার পড়া হয়েছে,
নাসিরনগর ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ছাত্রদল করায় বেতন বন্ধের অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরে আলমের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ন্যাশনাল সার্ভিসের এক কর্মচারী দুই মাসের বকেয়া বেতন ও কর্মস্থলে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।

রোববার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে একা দাঁড়িয়ে এ মানববন্ধনে অংশ নেন মো. মামুন মিয়া নামের ওই যুবক। তিনি নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি।

মানববন্ধনে মামুন দাবি করেন, বেকার সমস্যা দূর করতে সরকারের পাইলট প্রকল্প ‘ন্যাশনাল সার্ভিস’ কর্মসূচিতে ২০২১ সালে আমাকে মনোনীত করা হয়। চাকরিতে মনোনীত হওয়ার পর যুব উন্নয়ন অফিস থেকে তাকে পদায়ন করা হয় নাসিরনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে। সেখানে যোগদানের পর থেকে বেশ সফলতার সঙ্গেই চাকরি করে আসছিলেন। নিয়মিত কাজ করার হাজিরাও আমার কাছে আছে।

তিনি বলেন, গত আড়াই মাস পূর্বে নাসিরনগর কলেজ মোড়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মারামারি হয়। আমি দুপুরে খাবারের জন্য কলেজ মোড়ে গিয়ে দেখি উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে আছেন। এ সময় আমরা কয়েকজন তাকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করাই। আহত নাসির উদ্দিনকে কাঁধে করে নিয়ে যাওয়ার ছবি বিভিন্ন গণ্যমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সে সংবাদ ও আমার ছবি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দৃষ্টিতে আসলে অফিসে কাজ করতে পারব না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। অফিসে গিয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ করার পর পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। এমনকি তিনি আরও বলেন, তুমি গিয়ে ছাত্রদল কর, মিছিল মিটিং কর। তোমার চাকরি করার দরকার নাই। ওই ঘটনার পর থেকে আমার দুই মাসের বেতন-ভাতাও বন্ধ করেন।

মামুন বলেন, পরবর্তীতে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে আমার বেতন বন্ধসহ অফিসে কাজ করতে না দেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আমাকে জানান- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিষেধ আছে। তাই তোমাকে বেতন দেওয়া হবে না। পরে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফকরুল ইসলামের কাছে গেলে তিনি বলেন, আমি বেতন বন্ধ করতে কাউকে নির্দেশ দেয়নি।

কথা বলতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নূরে আলম বলেন, আমি কাউকে বেতন বন্ধ করিনি এবং কাজে যোগদান করতেও বাধা প্রদান করিনি। বরং ওই কর্মচারী অফিসে আসেন না দীর্ঘদিন ধরে। তিনি ইউএনও এবং যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কাছে না গিয়ে মিডিয়াতে যাওয়ার কারণ কী বুঝতে পারছি না। ওই কর্মচারীকে বলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত দিতে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। খোঁজ নিয়ে বলতে পারব।