গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি কসবা উপজেলার গুনিনপাড়া এলাকার মো. নাছিরের ছেলে রাকিব (২৩)।
নিহত ব্যক্তি দিনাজপুরের চিরিরবন্দর এলাকার দক্ষিণ সুকদেবপুরের ছাদের আলীর সন্তান সোহেল রানা ওরফে দুষ্টু (২৩)।
পুলিশ জানায়, দুষ্টু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার মনিয়ন্দ এলাকার নাজমা আক্তারের সন্তান অজান্তা হিজড়াকে গুরু মানতেন। সেই দুষ্টু কসবা উপজেলায় গোপীনাথপুর থেকে হিজড়া সংগঠনের কাজকর্ম করতেন। প্রায় ৭ থেকে ৮ মাস আগে দুষ্টুর সঙ্গে অটোরিকশাচালক রাকিবের পরিচয় হয়। পরিচয় হওয়ার পর থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। ঈদের পরদিন শুক্রবার (৩০ জুন) রাতে দুষ্টু তার প্রেমিক রাকিবকে কল দেন। ফোন কল পেয়ে রাকিব অটোরিকশা দিয়ে দুষ্টুকে নিয়ে বাসা থেকে বের হন। কিছু দূর যাওয়ার পর গোপীনাথপুর এলাকায় আসার পর দুষ্টু তার প্রেমিক রাকিবকে জানায়, সে তার বাড়ি দিনাজপুরে চলে যাবে। এই কথা শুনে রাকিব ক্ষিপ্ত হয়ে দুষ্টুকে গালাগাল করে। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে একটি গাছের ঢাল দিয়ে দুষ্টুর মাথায় রাকিব আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে একটি ইটের ভাঙা অংশ দিয়ে আবারও দুষ্টুর মাথায় আঘাত করে রাকিব। এ সময় দুষ্টুকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে প্রেমিক রাকিব পালিয়ে যান। একপর্যায়ে রাকিব ফোন দিয়ে দুষ্টুর গুরু মাকে ফোন দিয়ে জানায় মরদেহ গোপীনাথপুর সেকান্দারপাড়ায় পড়ে আছে।
কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় শনিবার (১ জুলাই) রাকিবকে আসামি করে দুষ্টুর গুরু মাতা নাজমা আক্তার কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারের পর রাকিব মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাকিবুল হাসানের কাছে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।