বৃহস্পতিবার, (২৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাথী ওই গ্রামের অটোচালক মোস্তাফা কামালের স্ত্রী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় নিহতের মরহদেহ উদ্ধার করে আখাউড়া থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে।
আখাউড়া থানা ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে সাথী ইসলাম তার স্বামীকে ঘুরতে নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু তার স্বামী ঈদ মৌসুমে গাড়ি চালিয়ে ভালো রোজগার হওয়ায় তার স্ত্রীকে পরে ঘুরতে নিয়ে যাবে বলে অটোচালক স্বামী মোস্তফা কামাল । এরই মধ্যে একদিন ঘুরতে নিয়ে যায়। বুধবার আবার স্বামীর কাছে ঘুরতে যাওয়ার বায়না ধরে। মোস্তফা কামাল বলেন এখন যাত্রী অনেক বেশি, রোজগার ভাল হইতেছে। ঈদ মৌসুম শেষ হলে আবার তুমাকে ঘুরতে নিয়ে যাব। একথা বলে তিনি বিকালে বাড়ি থেকে চলে যায়।
রাত ১২টার দিকে মোস্তাফা কামাল বাড়িতে ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করলে সাথী রাগ করে দরজা না খুলে তাকে অন্য ঘরে ঘুমাতে বলে। মোস্তাফা কামাল তখন তার ভাতিজার সাথে অন্য ঘরে ঘুমায়। সকাল ৬টার দিকে স্ত্রীকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে তার স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
এ ব্যাপারে মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম সবুজ বলেন, ৩ বছর আগে মোস্তাফা কামাল ও নারায়নগঞ্জ জেলার সাথী ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে হয়। ঈদুল ফিতরের পর সাথী তার স্বামীকে কুটি কাঠের পুল এলাকায় ঘুরতে নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু ঈদের মৌসুমে যাত্রী বেশি থাকায় কুটি না নিয়ে আখাউড়া চেকপোষ্ট এলাকায় ঘুরতে নিয়ে যায়। বুধবার বিকালেও সে আবার ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বায়না ধরে। এ নিয়ে স্বামীর প্রতি অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।