মো. রুহুল আমিন : মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। একটু সহানুভূতি কি পেতে পারেনা ও বন্ধু……।
শিল্পী ভূপেন হাজারিকার কালজয়ী সেই গান কবে কখন যে কার জীবনের অংশ হয়ে যাবে তা কারো জানা নেই। হ্যাঁ, বন্ধুরা আজ আমরা এমনই একটি জীবনের কথা বলবো, একটি জীবনের স্বপ্ন কি করে ধুসর হয় তার কথা বলবো।
মোঃ বিল্লাল হোসেন, পিতা-মোঃ হোসেন আলী, মা-মোহসেনেরা বেগম, ঠিকানাঃ গ্রাম-ভাটনী খোলা (হাসেন গাজীবাড়ি), শাহরাস্তি পৌরসভা,ওয়ার্ড নং-১১, শাহরাস্তি উপজেলা, চাঁদপুর। তিনি ব্রেইন টিউমারে আক্তান্ত। ১ মেয়ে ২ ছেলের পিতা। বসত ভিটা ছাড়া তার আর কোন জমি-যিরাত নেই। স্থানীয় শাহরাস্তি উপজেলার প্রাচীনতম ঠাকুর বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করে চলতো তার সংসার। বিগত ৪ বছর আগে থেকেই তিনি অসুস্থ। রোগ ধরা পড়ার পরও তিনি অসুস্থ শরীর নিয়ে কিছুদিন তার কাঁচামালের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। একপর্যায়ে শরীর অনেক খারাপ হয়ে পড়লে তিনি ব্যবসা বাদ দিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হন। একদিকে অসুস্থতা অন্যদিকে পরিবারের দৈনন্দিন খরচ মিটাতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েন বিল্লাল হোসেন। কিন্তু পেটতো আর অসুস্থতা মানে না। তাছাড়া তিনি ছাড়াও পরিবারে স্ত্রী, ২ছেলে এক মেয়ে বাবা-মা সহ তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৭জন। যদিও মানুষের সহায়তা নিয়ে ইতিমধ্যে মেয়েকে পাত্রস্থ করেছেন। এদিকে অসুস্থ বিল্লাহ হোসেন বাড়ি গিয়ে অসুস্থ শরীর নিয়ে কোন রকমে ছাগল পালন ও এলাকার মানুষের সহায়তা নিয়ে চালিয়ে নিচ্ছিলেন তার সংসার। যেহেতু নিজে কাজ করতে পারেন না তাই কিশোর বয়সী বড় ছেলেকে স্থানীয় এক সিলভার কারখানায় শ্রমিকের কাজে লাগিছেন। যে বয়সে কিশোর ছেলের হাতে থাকার কথা ছিল বই,কলম-খাতা সে বয়সে সংসার ও বাবার ঔষধ পথ্য কিনার টাকা যোগাড় করতে কিশোর ছেলে সিলভার কারখানায় শ্রমিকের কাজে যোগদিয়েছে নিজে বাঁচতে ও বাবার চিকিৎসা সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের মুখে অন্ন তুলে দিতে ছেলেও শ্রমিকের কাজে যোগ দেন। এভাবে চলতে চলতে এক সময় বিল্লাল হোসেনের মাথায় ভীষণ জ্বালাপোড়া ও ব্যাথা-বেদনা দেখা দেয়। তার ডাক-চিৎকারে স্ত্রী আমেনা বেগম অস্থির হয়ে পড়ে স্বামীর চিকিৎসার জন্য। একদিকে সংসারের অভাব অনটন অন্যদিকে স্বামীর চিকিৎসা করাতে কিংকর্তব্য বিমুঢ় হয়ে পড়েন আমেনা। অগত্যা নিজের বিবাহিত মেয়ের জামাতার শরণাপন্ন হন আমেনা। শেষে মেয়ের জামাতার নিকট হতে ও এলাকার মানুষের দেয়া আর্থিক সহায়তা নিয়ে বিল্লাল হোসেনের চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা শহরের কুমিল্লা টাওয়ারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ এম মাসুম ইমরানের পরামর্শ নিতে যান। চিকিৎসক বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে জানান, বিল্লাল হোসেন ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত। চিকিৎসক দ্রুত সুস্থতার জন্য তাকে ঢাকার আগারগাঁও এ চিকিৎসা করতে যেতে পরামর্শ দেন। ইতিমধ্যে গরিব বিল্লাল হোসেন খবর নিয়েছেন তার এই চিকিৎসা করাতে ৫/৬ লক্ষ টাকার প্রয়োজন হবে, এত টাকা সে কোথায় পাবেন সে জন্য তার ঘুম হারাম? সংবাদ সংগ্রহের কাজে উপজেলার একটি প্রাচিনতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গেলে দেখা মিলে তার সাথে। জানতে চাইলাম সে কেন স্ত্রী ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু সন্তান সহ এখানে এসেছে? জবাবে জানালো তার চিকিৎসা খরচ মিটাতে অনেক টাকার প্রয়োজন তাই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিকট হতে আর্থিক সহায়তার জন্য এসেছেন। এসময় জানতে চাইলে কান্নাজড়িত কন্ঠে বিল্লাল জানান “আমি বাঁচতে চাই, চিকিৎসার জন্য আমার অনেক টাকার প্রয়োজন”। আমি দেশ-বিদেশে থাকা বিত্তশালী ও দানবীরদের নিকট আর্থিক সহায়তার আবেদন করছি।
তার বিষয়ে শাহরাস্তি পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের কমিশনার মোঃ আবুল কাসেম মুন্সির নিকট জানতে চাইলে তিনি জান্নান, আমি ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিয়ে নিজে ও এলাকার দানবীরদের নিকট হতে কিছু আর্থিক সহায়তা করার চেষ্টা করেছি। তাছাড়াও সরকারের দেয়া সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ভবিষ্যতে তাকে সরকারি কোন সহায়তা পাওয়া গেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রদানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। আমি সমাজের বিত্তশালী ও হৃদয়বান দানবীরদের তাকে সহায়তা দিয়ে সুস্থ হতে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।
এমতাবস্থায় সমাজের দানশীল ও হৃদয়বান দানবীর ব্যক্তিদের দানের হাত বাড়িয়ে দিয়ে তার পাশে দাঁড়াবার অনুরোধ করছি।
বিল্লাল হোসেনের সাথে কথা বলা ও আর্থিক সহায়তা পাঠানোর জন্য তার ব্যক্তিগত ফোন ও বিকাশ নম্বর দেয়া হলঃ
মোঃ বিল্লাল হোসেন বিকাশ নম্বরঃ ০১৭০৫৩৬৪৭৫০ ও ০১৮১৩২২৩৪৯১
যে কেউ চাইলে উভয় নম্বরে তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।