উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার, তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, সাবেক সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বর্তমান নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বাংলা একাডেমীর সাহিত্য পুরস্কার’২০১৯ -এ ভুষিত, শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জের উন্নয়নের রুপকার এবং সংসদীয় আসন ২৬৪ (শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ) চাঁদপুর -৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম।
কেশরাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাতেমা আক্তারেরর স্বাগত বক্তব্য মাধ্যমে মুল অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি দেশকে ও দেশের মানুষকে মুক্ত করতে। এই যুদ্ধ আমার একার ছিলোনা। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত জনগনের অংশগ্রহণ করা ছাড়া কোন মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতাযুদ্ধ সম্ভব হয়নি। এখনও হবে না, আর ভবিষ্যতেও জনগনকে বাদ দিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধ সম্ভব নয়। ‘মুক্তিযুদ্ধ মানে জনগনের যুদ্ধ’। আমি যুদ্ধ করেছি দেশের মানুষ, আমার মা-বাবা এবং ভাই-বোন সহ নতুন প্রজন্ম যাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারে। আমি দেখছি এক হাস্য উজ্জ্বল নতুন প্রজম্ম। যারা সুন্দর, আধুনিক ও সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নেবিভোর।
অনুষ্ঠানে কেশরাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এবং শতবর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির আহবায়ক মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান পাটওয়ারীর সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ জামাল নাসের, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান, শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান চৌধুরী শেফালী, শাহরাস্তি পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুল লতিফ, কৃষিবিদ অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মোঃ নজরুল ইসলাম,
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ ইরান, জেড.এম আনোয়ার, উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা কামাল মজুমদার, সূচিপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহতাবউদ্দিন হেলাল। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান ভুঁইয়া, সূচিপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বাসার পাটওয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ আলম পাটওয়ারী সহ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী সহ এলাকায় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গবৃন্দ।
উল্লেখ্য, কেশরাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯১৮ সালে এলাকার বিদ্যোৎসায়ী রত্তন বানু তার মোহরানার টাকা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর ২২জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে ফ্রী চিকিৎসা ক্যাম্প এবং ঔষুধ বিতরণের এক অনুষ্ঠানে মাননীয় সাংসদ মেজর( অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এবং বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক এবিএম খুরশীদ আলমের নেতৃত্বে কেশরাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষপুর্তি উদযাপন আয়োজনের ঘোষণা দেন। ঐ ঘোষণা অনুযায়ী আজকের এই শতবর্ষপূর্তির উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম সামরিক শাসক এরশাদ সরকারের পতন হলে ১৯৯০ সালে দেশের প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার (মন্ত্রী পদমর্যাদায়) দায়িত্ব পান। তিনি ডিসেম্বর ১৯৯০ সাল থেকে ২০ মার্চ ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ওই সরকারের মন্ত্রী পদমর্যদায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ নির্বাচনী এলাকা ২৬৪ চাঁদপুর-৫ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ এলাকা থেকে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে একই আসন থেকে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চতুর্থবারের মত নির্বাচিত হন এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ ও ‘পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়’ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সফল রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে নিবেদিত হয়ে নিরলসভাবে উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পাদন করে যাচ্ছেন।