মোঃ রেজাউল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ তিনি মোট ৫ বার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি সাংগঠনিকভাবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ সরকারের সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়ীত্ব পালন করেন। গত ১লা জানুয়ারি ২০২৩ তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন।
দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার পরও উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার সঙ্গে বিএনপির নেতারা যে আচরণ করেছেন তা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়।
বিএনপির এই প্রবীণ নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এখন আলোচনায়। এ আলোচনায় তিনি স্থান করে নিয়েছেন তাঁর সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে।তিনি জাতীয় সংসদ থেকে দলীয় সদস্যদের পদত্যাগকে অদূরদর্শী আখ্যায়িত করে দল থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁরই ছেড়ে দেওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে তিনি আসন্ন উপনির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন স্বতন্ত্রভাবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনের আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ‘কলার ছড়া’র পক্ষে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন আশুগঞ্জ সরাইল উপজেলার নেতাকর্মীরা। এ প্রচারণা ধারাবাহিকভাবে নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত চলবে। জনগণের ভোটে ‘কলার ছড়া’র জয় হবেই এই স্লোগান উৎসুক জনতার মুখে মুখে। উপনির্বাচনে উকিল সাত্তার ছাড়াও অপর তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ, জাপার প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ভাসানী ও জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েলও নির্বাচনী মাঠে থেকে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন।তবে সবার জনপ্রিয়তার শীর্ষে ও অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া।শিক্ষাগত যোগ্যতা, পারিবারিক ঐতিহ্য এবং রাজনৈতিক পরিপক্বতায় এগিয়ে আছেন তিনি।
তিনি এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয়, এবং রাজনৈতিক ক্যারিয়ার রয়েছে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার। ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত এই ব্যক্তি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। পারিবারিক কারণ দেখিয়ে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে শূন্য হওয়া আসনের উপনির্বাচনে নিজে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সম্মতি প্রদানের মধ্যেও আছে তাঁর দেশপ্রেমের প্রকাশ।
তিনি এলাকার মানুষের উন্নয়নে নিবেদিত প্রান। তিন দশকের পথ চলায় তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা যেমন পরিপক্ব হয়েছে তেমনি স্থানীয় বাসিন্দাদের চিনেছেন নিবিড়ভাবে। কেবল মানুষ নয় তিনি প্রকৃতি ও প্রশাসনের এক অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হন। ক্রমান্বয়ে তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দেশের অন্যতম স্বচ্ছ রাজনীতির ধারাকে বেগবান করেন। বিএনপির মতো দলের নেতা হয়েও নিজেকে সততার কষ্টিপাথরে যাচাই করে মানুষের মাঝে টিকে থাকা চাট্টিখানি কথা নয়। রাজনীতির দুষ্টচক্রকে দূরে ঠেলে নিজেকে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছেন এই নেতা।
এখন তিনি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন ফলে দলমত নির্বিশেষে এলাকার সবাই তার পক্ষে আছেন। এটিকে স্বাগত জানিয়েছেন।’ ১ ফেব্রুয়ারি ভোট দিয়ে উকিল আব্দুস সাত্তারকে নির্বাচিত করবে বলে জানান এলাকাবাসী । উক্ত আসনের ৩ লাখ ৭৩ হাজার ১৪৮ জন ভোটার।