শাহরাস্তিতে সুষ্ঠুভাবে প্রাথমিক বৃত্তি পরিক্ষা অনুষ্ঠিত 

শিক্ষাঙ্গন, 30 December 2022, 151 বার পড়া হয়েছে,
মোঃ রুহুল আমিন : শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় সুষ্ঠুভাবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে এই পরীক্ষা ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবার সিদ্ধান্ত ছিলো। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় পর্যায়ে কয়েকটি পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত থাকায় এই বৃত্তি পরিক্ষা ২৯ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৩০ ডিসেম্বর গ্রহনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।
সারা দেশের ন্যায় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত শাহরাস্তি উপজেলার ডাকাতিয়া নদীর উত্তর ও দক্ষিণ অংশে থাকা বিদ্যালয় সমূহকে ২টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ডাকাতিয়া নদীর উত্তর পাড়ে নিজমেহার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ১ নং কেন্দ্রের অধীন ৫৭টি বিদ্যালয় হতে মোট ৫৫৭ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫২ জন্য পরিক্ষায় অংশগ্রহন করে। এই কেন্দ্রে (২ টি ছেলে ও ৩ টি মেয়ে) মোট ৫ টি শিশু  অনুপস্থিত ছিলো। নদীর দক্ষিণ পাড়ে অবস্থিত উঘারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২নং কেন্দ্রের অধীন ৪৪ টি বিদ্যালয় হতে মোট ৩০১ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে ২৯৪ জন্য পরিক্ষায় অংশগ্রহন করে। এই কেন্দ্রে (৫টি ছেলে ও ২ টি মেয়ে) মোট ৭টি শিশু  অনুপস্থিত থাকে।
কেন্দ্র দুইটিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, যথাক্রমে শাহরাস্তি উপজেলার মৎস্য অফিসার ফারুক আহমেদ ও সহকারী প্রোগ্রামার মোঃ শাহ্জাহান, কেন্দ্র সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, যথাক্রমে নিজমেহার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও উঘারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মজিবুর রহমান, হল সুপার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, যথাক্রমে শোরসাক যুক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা আক্তার ও টামটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন ভুঁইয়া ও সহকারী হল সুপার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন যথাক্রমে ফেরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন ও খামপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিন।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক এই বৃত্তি পরীক্ষা চার বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরের অনুষ্ঠিত হয়। বিষয়গুলি হচ্ছে বাংলা, ইংরেজি, গণিত এবং বিজ্ঞান। প্রতি বিষয়ে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিটি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির বাছাই করা ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ পেয়েছে।
২০০৮ সালে সর্বশেষ এই পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরের বছর পঞ্চম শ্রেণিতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালু হলে বাদ হয়ে যায় প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা। তবে গত ২৮ নভেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আবারও এ পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়।
২০০৯ সাল থেকে অনুষ্ঠিত পিইসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতেই বৃত্তি দেয়া হতো। করোনা সংক্রমণের কারণে গত ২০২০ ও ২০২১ এই দুই বছর পিইসি পরীক্ষা হয়নি। ফলে দেয়া হয়নি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি।
আগামী শিক্ষা বছর থেকে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমে এই বৃত্তি পরীক্ষার কথা উল্লেখ নেই। একেবারে দশম শ্রেণিতে গিয়ে পাবলিক পরীক্ষা (এসএসসি ও সমমান) নেয়ার কথা বলা হয়েছে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে প্রথম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে।