মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার নাসিরনগর উপজেলার রামপুর গ্রামে বল্টু মেম্বার ও মেরাজ মিয়া গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা চলছিল। এর জের ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটনার আগের দিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোয়ালনগর নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে উভয়পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়।
এতে একপক্ষের নেতৃত্ব দেন বল্টু মেম্বার এবং অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেয় মুছা মিয়া। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর উভয়পক্ষের কয়েকজন সদস্যের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে উভয় গ্রুপের সদস্যরা যার যার বাড়ি গিয়ে লোকজন সংগ্রহ করে এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ফলশ্রুতিতে রামপুর গ্রামে ব্যাপক গোলযোগ ও দাঙ্গা হাঙ্গামার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনপক্ষই অপর পক্ষইকে কাবু করতে না পারায় প্রথমে বল্টু মেম্বার গ্রুপের নেতৃত্বে সদস্যরা নিজের পক্ষের লোককে হত্যা করে প্রতিপক্ষ মুছা মিয়া গ্রুপকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য তারা টার্গেট হিসেবে বেছে নেয় নিজ পক্ষেরই ৬৫ বছর বয়স্ক বরজু মিয়াকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা বরজু মিয়াকে গলা কেটে হত্যা করে এবং পরবর্তীতে প্রতিপক্ষ মুছা মিয়া গ্রুপের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় বিগত ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি হত্যা মামলা দায়ের করে।
পূর্বে পিবিআইয়ের হাতে আসামি খোরশেদ আলম, আক্কাস মিয়া ও পরশ মিয়ারা ভিকটিম বরজু মিয়া ও রফিজা বেগকে হত্যার দায় স্বীকার করে এবং আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
২টি মামলা পিবিআই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তদন্তাধীন আছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।