ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন থেকে সিল জালিয়াতির অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম ও শরিফুল ইসলাম নামে দুই বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীকে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় আটক হলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের সিল জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার দেখিয়ে আখাউড়া থানায় সোপর্দ করেন।
গ্রেফতার জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের বাসিন্দা ধোনাই মোল্লার ছেলে। অপর আসামি শরিফুল ইসলাম (৩০) যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার খোজালিপুর গ্রামের জমসেদ আলী দফাদারের ছেলে।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ও গ্রেফতার ব্যক্তিরা জানান, চলতি বছরের ২৬ জুলাই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা দুজন। এ সময় শাহজালাল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সন্দেহভাজন ভ্রমণকারী হিসেবে তাদের পাসপোর্ট অফলোড সিল দিয়ে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
পরে তারা দালালের মাধ্যমে ভারতীয় ভিসা নেন। ঢাকার ওই দালালচক্র তাদের দুজনকে ভারত পার করে দেওয়ার জন্য শনিবার সকালে ঢাকা থেকে আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনযোগে আখাউড়ায় দালালদের কাছে পাঠায়। আখাউড়ায় দালাল চক্র পাসপোর্টে সিল ও ভারতে প্রবেশে কাজের কথা বলে ওই দুজনের কাছে ৩০ হাজার টাকা এবং ২০০ ডলার দাবি করে। তাদের কথামতো দালাল চক্রকে টাকা ও ডলার পরিশোধ করেন তারা।
পরে বিকালে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের শূন্যরেখায় দুই দেশের ফ্লাগ ডাউন (পতাকা উৎসব অনুষ্ঠান) শেষ হওয়ার পর দুজনকে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের বহির্গমনের গেট পার করে ভারতের পাঠায় দালালরা।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা ইমিগ্রেশন পুলিশ পাসপোর্টের সিল দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাদের আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে ফেরত পাঠায়। এ সময় তাদের পাসপোর্টে দেওয়া আখাউড়া ইমিগ্রেশনের সিলটি জাল থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ জাহাঙ্গীর আলম ও শরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ইনচার্জ স্বপন দাশ জানান, গ্রেফতার পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ইমিগ্রেশনের সিলটি জাল নিশ্চিত করা গেছে। গ্রেফতার পাসপোর্টধারী দুই যাত্রীকে রাতেই আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার পাসপোর্টধারী যাত্রীদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট জালিয়াতি মামলা প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া এ চক্রের হোতাদের আটকে অভিযান চলছে।