ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়ন রাজঘর গ্রামে শামিম বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গ্রামের বাসিন্দারা। প্রতি মুহুর্তে আতঙ্কে কাটছে তাদের দিন। প্রভাবশালী গোষ্ঠী বাড়ীতে জন্মগ্রহন করায় তার বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না অনেকে।
রাজঘর এলাকার নজরুল ইসলাম জানান, শামিম এলাকার প্রভাব বিস্তারকারী, মারামারি, চাঁদাবাজিসহ অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে সে জড়িত। গড়ে তুলেছেন এক সন্ত্রাসের রাজত্ব। তার বাহিনীতে আপন ভাই ভাতিজা ও লিটন, লিজন, সাইদুর, শাহ আলমসহ গ্রামের কিছু বখাটে ছেলে রয়েছে। যাদের দিয়ে এসব অপকর্ম গুলো করে থাকেন।
শামিম বাহিনীর দ্বারা নির্যাতীত রাজঘর গ্রামের নজরুল ইসলাম আরও জানান, শামিম মিয়া গত সোমবার (১৫ আগস্ট) সকাল আনুমানিক বেলা ১১টায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার বাড়িতে এসে হুমকি ধামকি প্রদান করে। পরবর্তীতে শামিম রেজা বাহিনীর দলবল নিয়ে এসে বাড়ি ঘর ভাংচুর, লুটপাট, নারী শিশুসহ ২০ জনকে বেধড়ক মারধর করে জখম করেন।
আমার পরিবারে এখনও আতংক ও উৎকণ্ঠা কাটছে না, যে কোন সময় আবার শামিম রেজা বাহিনী হামলা করতে পারে। নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে। এবিষয়ে আমি সদর থানায় অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদলের সহ-ত্রান ও পূর্নবাসন সম্পাদক পদধারী শামিম রেজা সে শুধু মানুষকে চাঁদা নিয়ে অত্যাচার করে না। এলাকার চিন্থিত মাদক ব্যবসায়ী ও কারো সাথে তার মতের অমিল হলেই সে চড়াও হয়ে উঠে এবং মারধর করে।
সে বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত হয়েও কিভাবে এত ক্ষমতা, সাহস পায় সেগুলো খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্ত করে তাকে বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছে নজরুল ইসলামসহ গ্রামবাসী।
এবিষয়ে জানতে শামীম রেজাকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।