সরাইলের পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 26 July 2022, 135 বার পড়া হয়েছে,

মো. রুবেল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে গুলশা, শিং, কাতল, ব্রিকেট, রুই’সহ ইত্যাদি মাছ চাষের একটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের উত্তর ধীতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুকুরটিতে মাছ চাষ করতো স্থানীয় নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। এতে প্রায় ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয়রা।

পুকুর মালিক নজরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল হাকিম বলেন, আমাদের এ পুকুর’সহ ৪ টি পুকুর রয়েছে। চারিদিকে পানি বাড়তে থাকায় অন্যান্য পুকুরের মাছ ও এই পুকুরে ছাড়া হয়েছিল। বর্তমানে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আমার আব্বা এক মামলার আসামি হওয়ায় বাড়িতে থাকতে পারেন না। তাই আমরা ভাইয়েরাই এগুলোর দেখাশুনা করি।

তিনি বলেন, গতকাল রাত আনুমানিক ১ টার দিকে স্থানীয় সুলেমান, আলমাস, আব্দুল, সৈকত, মিজান, তানু নামে ৬ জন ব্যক্তি আমাদের এই পুকুর পারে এসেছিল। আমার ভাই ও স্থানীয় একজন নিজ চোখে তাদের এখানে দেখেছে।

স্থানীয় মৃত আব্দুল খালেক এর ছেলে মোঃ সুলেমান এর নেতৃত্বেই পুকুরে বিষ দেওয়া হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের পুকুরের পাশেই সুলমান এর একটি ফসলী মাঠ রয়েছে। এর আগেও আমার পুকুরে যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকার পরেও তার জায়গার পানি আমাদের না জানিয়েই পুকুরে ছেড়ে দিয়েছিল যাতে সকল মাছ তার জায়গায়’সহ আশপাশে চলে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে নানান কলাকৌশল অবলম্বন করেছেন সুলমান।

আব্দুল হাকিম আরও বলেন, মাছ চাষের টাকাতেই আমাদের সংসার চলে। এ ঘটনায় প্রায় ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকা আমাদের ক্ষতি হয়েছে। এ লোকসান সইবার মতো ক্ষমতা আমাদের নেই। আমরা ন্যায্য বিচার চাই।

পুকুর মালিক নজরুল ইসলামের স্ত্রী বলেন, আমাদের এই পুকুরই সম্বল। এ ঘটনায় আমরা এখন নিঃস্ব। আমি এটার বিচার চাই।

এ ঘটনায় স্থানীয় কয়েকজন বলেন, পুকুর টুকুই তাদের রুজিরোজগার এর মাধ্যম। অনেক টাকা তাদের এই পুকুর করতে গিয়ে ব্যয় হয়েছে। অভিযুক্ত যেই হোক বিচারের আওতায় আনার দাবি তাদের।

এই বিষয় বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত সুলেমান মিয়ার মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। তার ছেলে হারুন মিয়ার মুঠোফোনে কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি সংযোগ কেটে দেন।

সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, ইতিমধ্যে পুকুরে মাছ মেরে ফেলার বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।