প্রবল বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কয়েকটি আশ্রয়ণের বাসিন্দারা। তলিয়ে গেছে কয়েকটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের চলাচলে রাস্তা। এতে করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার। খাবারসহ জরুরি পণ্যের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে আশ্রয়ণের প্রায় শতাধিক পরিবার। অপেক্ষাকৃত নিচু জায়গায় ঘর তৈরির ফলে এমনটি হয়েছে বলে দাবি বাসিন্দাদের।
পানিবন্দি অবস্থায় থাকা আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো খোঁজ নেয়নি, দেওয়া হয়নি ত্রাণ। এ চিত্র উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর আশ্রয়ণ কেন্দ্রের। এ ছাড়া পানিতে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে কুণ্ডা, ধরমণ্ডল ও ভলাকুট আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘুরগুলো। এসব আশ্রয়ণকেন্দ্রের চারদিকে পানিতে তলিয়ে গেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামে দুদফায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ৩০টি আধপাকা ঘর নির্মাণ করা হয়। সেখানে এখন হাঁটুজল। এ ছাড়া কুণ্ডা, ভলাকুট, নাসিরনগর সদর, গোকর্ণ, পূর্বভাগ ইউনিয়নে ১২০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। সেগুলোও ডুবো ডুবো অবস্থায় আছে।
বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর আশ্রয়ণের বাসিন্দা সেন্টু মিয়া বলেন, এখন যে পানি হয়েছে তা প্রতিবার বর্ষাতেই হয়। পানি তো ২০০৪ সালের বন্যার মতো হয়নি। এর মধ্যেই ঘরে হাঁটুজল। বেশি পানি হলে তো ঘরের চালাতে পানি চলে যাবে।
আরেক বাসিন্দা মমতাজ বেগম জানান, ঘরে কোনো খাবার নেই। ছোট ছোট বাচ্চাগুলোরে নিয়া আছি বিপদে। সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত কোনো সাহায্য পায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা আশ্রয়ণে যাচ্ছি। তাদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভরাপ্রাপ্ত মোনাব্বর হোসেন বলেন, বন্যাদুর্গত পরিবারগুলোকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।