স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে সিলেট। গ্রামাঞ্চলের মতোও সিলেট নগরীও বন্যাকবলিত। সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, নগরীর প্রায় ৮০ ভাগ এলাকা বন্যাদুর্গত।
জানা গেছে, বাসাবাড়িতে পানি উঠা মানুষের আশ্রয়ের জন্য মহানগরীতে ৮০টি কেন্দ্র খুলেছে সিসিক।
তবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাবারের তীব্র সংকট চলছে। সরকারি বরাদ্দ অত্যন্ত কম থাকায় এ সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যক্তি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠনের উদ্যোগে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর মানুষের জন্য কিছু খাবার বিতরণ করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় খুবই অল্প বলে জানিয়েছেন আশ্রয় নেওয়া বন্যার্তরা।
সিসিক সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতিতে সিলেট নগরীতে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ৮০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ১২ হাজার বন্যার্ত উঠেছেন। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে তাদের খাবার ও চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। কারণ সরকারি বরাদ্দ কম। মেয়র আরিফ জানিয়েছেন, এবারের বন্যায় সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মাত্র ৩০ টান চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ফলে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার চলছে। কিছু কিছু কাউন্সিলর ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হচ্ছে খাবার।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, ৮০টি আশ্রয় কেন্দ্রে যেসব বন্যার্ত ওঠেছেন তাদের প্রত্যেকের জন্য এ পর্যন্ত মাত্র এক কেজি চিড়া ও আড়াই শ’ গ্রাম গুড় বরাদ্দ করা হয়েছে।
এর বাইরে কাউন্সিলর ও স্থানীয় লোকজন নিজেদের উদ্যোগে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাবার দিচ্ছেন।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে সার্কিট হাউসে মতবিনিময়কালে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এবারের বন্যায় সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দী। কিন্তু মাত্র ৩০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চিড়া এবং গুড়ও চাহিদার তুলনায় খুব কম। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সিলেট সিটি এলাকায় বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি। এসময় প্রধানমন্ত্রী বরাদ্দ বাড়ানোর আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘চিন্তা করবেন না, কেউ না খেয়ে মরবে না। সরকার বন্যার্তদের পাশে আছে।