খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাশ শুরু ও ছুটির সময় কিশোর গ্যাংয়ে সদস্যরা হালদারপাড়ার সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেনের সামনের রাস্তা, কাজীপাড়ার সাবেরা সোবহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা, হালদারপাড়া গভঃ গালর্স উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা, মৌড়াইল অবকাশ এলাকার ফারুকী পার্কের সামনে, সরকারী মহিলা কলেজের হোস্টেলের সামনে, পাইকপাড়া আনন্দময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা, লোকনাথ উদ্যান (টেংকেরপাড়), ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর আধুনিক মার্কেটের সামনেসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে স্কুলের ছাত্রীদেরকে ইভটিজিং করে।
বিশেষ করে ফারুকী পার্ক ও লোকানাথ উদ্যানে (টেংকেরপাড়) কিশোর গ্যাংয়ের পদচারনা থাকে বেশী। শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা স্কুল ফাঁকি দিয়ে ওই দুটি জায়গায় অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে। নিজেদের মধ্যে মারামারি করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের ইভটিজিং করে। সুযোগ পেলে পথচারীদের ডেকে নিয়ে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। গত ১৫ দিনে লোকনাথ উদ্যানে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা প্রতিপক্ষের কিশোরদের মারধোরসহ বেশ কয়েকটি অপরাধ কর্মকান্ড করে। প্রায় ১ মাস আগে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এক কলেজ ছাত্রীকে মারধোর করে তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা রাজনৈতিক নেতা এবং শহরের প্রভাবশালী পরিবারের বিধায় তাদেরকে কেউ কিছু বলতে সাহস পায়না। তাই দিন দিন বাড়ছে তাদের দৌরাত্ম। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবদুন নূর বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতায় আমরা আতঙ্কিত। তিনি কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে পুলিশের তৎপরতা আরো জোরদার করার দাবি জানান।
এদের মধ্যে ১৫ জন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও ড্রেস পড়া। লোকনাথ উদ্যানে প্রায়ই অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। ছাত্রীদেরকে উত্যক্ত করে। তাদের অনেকের পকেটেই চাকু থাকে। তিনি বলেন, স্কুলের প্রধান ও তাদের অভিভাবকদের খবর দেয়া হয়েছে। তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।