তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অসত্য নিউজ পরিবেশনা, গুজব রটানো এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশকিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনের বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব তথ্য জানান তথ্যমন্ত্রী।
সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) এর লিখিত প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ায় এমন কার্যক্রম পরিচালনাকারী ও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ১৭৯টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ডোমেইন বরাদ্দ বাতিলসহ লিংক বন্ধ করার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও সরকারি দলের বেনজীর আহমেদের (ঢাকা-২০) প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ঢাকা জেলা হতে দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকার সংখ্যা এক হাজার ১২৬টি। এর মধ্যে দৈনিক পত্রিকা ৪৯৯টি, সাপ্তাহিক ৩৪৫টি ও মাসিক ২৮২টি।
এ সময় তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সরকারি বিজ্ঞাপন কেন্দ্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় না। ফলে বিজ্ঞাপন বাবদ সরকারি ব্যয় বা রাজস্ব আয়ের সঠিক তথ্যাদি তথ্যও মন্ত্রণালয়ে নেই।
তবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আদেশ বলে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) ‘এ শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবসের ক্রোড়পত্র বিতরণ ও বিল পরিশোধ করে। এই বিল থেকে সরকারি কর বাবদ ১০ শতাংশ, আয়কর বাবদ ৪ শতাংশ, ভ্যাট বাবদ ১৫ শতাংশ ও ২শতাংশ সার্ভিস চার্জ আদায় করা হয়। এ বাবদ চলতি অর্থ বছরে ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্রিকার ক্রোড়পত্র থেকে ২ কোটি, ৮৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২৩ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।