চট্টগ্রামে বাড়ছে পরকীয়া ভাঙছে সংসার

সারাদেশ, 26 July 2021, 476 বার পড়া হয়েছে,

পরকীয়ার জেরে তিক্ততা বাড়ছে সংসারে। এতে চট্টগ্রামে ভাঙছে একের পর এক সংসার। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা রক্তারক্তিতে রূপ নিচ্ছে। খুনও ঘটছে।

এমন পরিস্থিতিতে নৈতিক অবক্ষয় রোধে নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক মূল্যবোধের ওপর জোর দিয়েছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।

চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার কয়েকটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে যতগুলো অভিযোগ থানায় আসে তার সিংহভাগের নেপথ্যে স্বামী-স্ত্রীর পরকীয়া। এর জেরে সংসারে তিক্ততা শুরু হয়। পরে তা মারধরে রূপ নেয়। এসব ঘটনার শুরুতে ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করলেও পরে তা নিজেরাই প্রত্যাহার করে নেন। প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর পুলিশের কিছুই করার থাকে না।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসূত্রে জানা যায়, স্বাভাবিক সময়ে সিটি করপোরেশনে প্রতি মাসে ৫ শতাধিক বিয়েবিচ্ছেদের আবেদন জমা পড়ে।

যার একটি অংশ স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে আবেদনে উল্লেখ করেন পরকীয়া। তবে আবেদনে পরকীয়া উল্লেখ করলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রমাণ করতে পারেন না বাদী। প্রমাণ করতে না পারলেও স্বামী-স্ত্রীর একে অন্যের প্রতি সন্দেহের কারণে বিয়ে টিকিয়ে রাখা যায় না।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও অপরাধবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বিকৃত মানসিকতা এবং নৈতিক অবক্ষয়ের কারণেই পরকীয়ার মতো ঘটনা বাড়ছে। ফলে খুনের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটছে। এসব রোধে নৈতিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

১৯ জুলাই মহানগরের হালিশহরে অন্য পুরুষের সঙ্গে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহে রেহেনা বেগম নামে এক গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন স্বামী। ৯ এপ্রিল সীতাকুন্ডের তেলিপাড়ায় স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় খুন হন জয়নাল আবেদীন। ২৯ জানুয়ারি বায়েজীদ এলাকায় স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় খুন হন গৃহবধূ বিবি ফাতেমা লিপি।

১ জানুয়ারি পরকীয়া সন্দেহে খুন করা হয় বায়েজীদ এলাকার রেহানা পারভীনকে।

২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর কোতোয়ালি থানা এলাকার পিন্টু দেবনাথের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে মাধব দেবনাথ নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
২৮ নভেম্বর বন্দর থানার আন্দনবাজারে পরকীয়া সন্দেহে ইব্রাহিম নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর বিরুদ্ধে একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ তুলে দেহে ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করেন মেধাবী চিকিৎসক মোস্তাফা মোরশেদ আকাশ। – (বিডি প্রতিদিন)