সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে একক প্রার্থী হিসেবে ¯’ানীয় সংসদ সদস্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, জনগণের সহায়তায় এদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দেয়া হবে। ওরা ভেবেছিল ৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে, বন্দুকের জোরে সংবিধান পরিবর্তন করে দেশকে পাকিস্তান বানাবে। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।
তিনি আরো বলেন, খুনি জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া এদেশের জনগণের উপর জগদ্দল পাথরের মত বসেছিল। বিএনপি বিদেশীদের সাথে প্রভুর সম্পর্ক করেছিল কিš‘ জননেত্রী শেখ হাসিনা বিদেশীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলেন। তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু ছয়দফা দাবীর মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। কিš‘ বিএনপি যুদ্ধোপরাধি জামাত নেতাদের মন্ত্রী বানিয়ে রক্ত দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার পতাকা তুলে দিয়ে স্বাধীনতা ও দেশকে কলঙ্কিত করেছিল।
সম্মেলনের সভাপতি আইন মন্ত্রী আনিসুল হক তাঁর বক্তৃতায় বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মুখে লাগাম ধরে কথা বলেন, রাজনীতি করতে আমাদের কোন বাঁধা নেই। আবার ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটাবেন এ কথা বললে আইনের মাধ্যমে দাঁত ভেঙ্গে দেয়া হবে। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে কিছুই করতে পারবেন না। ষড়যন্ত্রকারীদেও আইনের মাধ্যমে সাঁজা দেওয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে হত্যার হুমকি দিলে এ দেশের জনগণ পিটিয়ে হাড় ভেঙ্গে দিবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। তিনি তার তিন বছরের শাসনামলে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু জামাতকে ছাড় দিয়েছিলেন। যার ফলে তাঁর পরিবারের ১৭ জন প্রাণ দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্র করেছিল যেন সেতু না হয়। সে সময় ড. ইউনুছ বিশ^ ব্যাংকে গিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিরোধীতা করেছিল। বিশ^ ব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করে দেওয়ার পরও জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।
কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক, ¯’ানীয় সংসদ সদস্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলন উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোক্তাদীর চৌধুরী।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ¯ি’ত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদ।
কসবা পৌর সভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী‘র স ালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ইউনিয়নের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও কাউন্সিলরবৃন্দ উপ¯ি’ত ছিলেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম ওবায়দুল মোক্তাদীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে নির্বাচন পরিচালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। এতে আইন মন্ত্রী আনিসুল হককে সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়াকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের প্রস্তাব আসে। এ সময় কাউন্সিলরগণ এ প্রস্তাব সমর্থন করেন। বিকল্প কোন প্রার্থী না থাকায় আনিসুল হক সভাপতি এবং মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।