সব প্রটোকল মেনে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

জাতীয়, 2 June 2022, 182 বার পড়া হয়েছে,

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, উভয়পক্ষই মালয়শিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিরাপদ, নিয়মিত, সস্তা এবং সুশৃঙ্খল কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার উপায় তৈরি করতে সক্ষম হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের টিকাদান এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতাসহ প্রয়োজনীয় সব প্রটোকল বজায় রেখে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন।’

মালয়শিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা দুই দেশের মধ্যে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে স্বাক্ষরিত শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত এমওইউ’র পৃষ্ঠপোষকতায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ায় গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী মালয়শিয়া সরকারের অ-সামরিক ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশি নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন।

কুশল বিনিময় শেষে প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ সফররত মালয়শিয়ার মন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

তিনি স্মরণ করেন যে আমাদের স্বাধীনতার পরপরই মালয়শিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে সম্পর্ক শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।

বৈঠকে মালয়েশিয়ার মন্ত্রী মালয়েশিয়ান চলমান জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করেন।তিনি প্রধানমন্ত্রীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাদের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পুনর্গঠন এবং আইএলও নির্দেশিকা অনুসরণ করে তাদের অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া সুগম করার বিষয়ে অবহিত করেন।

মালয়েশিয়ার মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য ৫ বছরের কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি। এই লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যেই ন্যূনতম মজুরি ১৫০০ আরএম এ বাড়িয়েছি।’

দাতুক সেরি এম সারাভানান বলেন, ‘আমরা এখন সব কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করেছি, যাতে প্রতিটি পদক্ষেপে অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা হয়।’

মালয়েশিয়া শুধুমাত্র চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, আমরা নিয়োগকারী সংস্থাকে মাঝখানে না রেখেই নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে কর্মীদের বেতন কার্ড অ্যাকাউন্টে সরাসরি ই-পেমেন্ট ইনস্টল করেছি।’

তবে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এমওইউ বাস্তবায়ন বিলম্বিত হওয়ায় মানবপাচারের সম্ভাবনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন সারাভানান।