চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের রাজস্ব বিভাগের অফিস সহায়ক পদে গত ১১ মার্চ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় কৃতকার্য হন ২৩৭ জন। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় তারা অন্যের সাহায্যে ভাল ফলাফল করলেও মৌখিক পরীক্ষায় তাদের গোমর ফাঁস হয়ে যায়। ফলে তারা মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা পড়েছেন।
বুধবার মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে ধরা খেলেন ২০ জন। এর মধ্যে ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল, পাঁচজনকে জরিমানা এবং তিনজনকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরীক্ষায় ২১ জন অনুপস্থিত ছিলেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের রাজস্ব বিভাগ, ১৫টি উপজেলা ভূমি অফিস এবং ৬টি মহানগর সার্কেল ভূমি অফিসসমূহে অফিস সহায়কের শূন্য পদে এ জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম হলে এ মৌখিক পরীক্ষা এবং পরীক্ষার্থীদের শারীরিক দক্ষতা যাচাই করা হয়। পরীক্ষা চলাকালে আটক পরীক্ষার্থীদের সন্দেহ হলে খাতা যাচাই করে প্রাপ্ত নম্বরের তারতম্য ও হাতের লেখায় অমিল পাওয়া যায়।
লিখিত পরীক্ষার সময় ফটোশপের মাধ্যমে আইডি কার্ডে প্রক্সি দেওয়া ব্যক্তির ছবি লাগিয়ে দেওয়ার জালিয়াতির বিষয়টির কারণে নজরদারি বাড়ানো হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা নানা অসঙ্গতি দেখতে পেয়ে সন্দেহ বাড়ে।
পরে নানা প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি কিছু পরীক্ষার্থী। এ সময় নিজের লিখিত পরীক্ষা অন্যের মাধ্যমে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন ২০ জন। পরে তাদের আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসান বলেন, রাজস্ব শাখায় অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় মোট ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি, জরিমানা ও মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ভালো ছাত্ররা টাকার বিনিময়ে এসব পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসেন বলেও জানান তিনি।